নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
কিংবদন্তি স্পিনার শেন ওয়ার্নতো এখন নশ্বর পৃথিবীর সীমা ছাড়িয়ে নক্ষত্র হয়ে আকাশের ঠিকানায় ঘর পেতেছেন। তবে তাঁকে কি ক্রিকেট এতো সহজে ভুলতে পারে? স্পিন বোলিংকে যে তিনিই শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন তার কবজির মোচড়ে। গত বছরের মার্চে তিনি ছেড়েছিলেন পৃথিবীর বুক। তার মৃত্যুর পর গতকালই প্রথম তার ঘরের মাঠ মেলবোর্ন স্টেডিয়াম মেতেছিল বক্সিং ডে টেস্টের উন্মাদনায়। সেখানে ফিরে ফিরে এলেন ওয়ার্ন। ক্রিকেটের জন্য এই আবাগের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিধ্বস্ত করলেন ক্যামেরুন গ্রিন। এই অলরাউন্ডারের বোলিং তোপে ১৮৯ রানে অল-আউট হয় প্রোটিয়ারা। এই নিয়ে টানা সাত টেস্ট ইনিংসে আফ্রিকানরা ব্যর্থ হলো দুইশ রান স্পর্ষ করতে।
ওয়ার্নের প্রিয় ফ্লপি হ্যাট পড়ে জাতীয় সঙ্গীতের সময় দুই দলের ক্রিকেটাররা দাঁড়ালেন। শুধু তাই না একই হ্যাট পড়া অবস্থায় দেখা গেল বহু দর্শকদেরও। ওয়ার্নের টেস্ট আউটফিটের আরেকটি উল্লেখযোগ্য ব্যাপার ছিল মুখে জিঙ্ক ক্রিম মাখা। দর্শকরা কেউ কেউ সেটি মেখে স্বরণ করলেন কিংব্দন্তিকে। ঠিক দুপুর ৩ টা ৫০ মিনিটে খেলা থামিয়ে সম্মান জানানো আর ওয়ার্নি ওয়ার্নি... বলে চিৎকার। এদিন মেলর্বোনের উইকেটে খানিকটা ঘাস ছোঁয়া থাকলেও ধারণা করা হচ্ছিল এখান থেকে সুবিধা পাবেন ব্যাটাররা। যে কারণে অনুমেয়ভাবেই টস জিতে ব্যাটিং করতে চাইতেন অধিনায়করা। তবে টস জিতে প্যাট কামিন্স করলেন ঠিক উল্টোটা। নিজেরা নয় বরং সাউথ আফ্রিকাকে ব্যাটিং করতে পাঠান অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক। ডিন এলগার অবশ্য সোজাসাপ্টা বললেন তারা ব্যাটিংই করতে চেয়েছিলেন। তবে কে জানত প্রোটিয়াদের জন্য অপেক্ষা করবে এমন বিভীষিকা!
দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংসে চতুর্থ ওভারেই ফিরতে পারতেন এলগার। কামিন্স ফিরতি ক্যাচ নিতে না পারায় ৭ রানে জীবন পান সাউথ আফ্রিকার অধিনায়ক। সারেল এরউইকে নিয়ে ১০ ওভার কাটিয়ে দিলেও উদ্বোধনী জুটি বড় করতে পারেননি। স্কট বোলান্ডের অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে তৃতীয় সিøপে থাকা উসমান খাওয়াজাকে ক্যাচ দেন ১৮ রান করা এই ব্যাটার। তিনে নেমে টিয়ারনেস ডি ব্রুইন চেষ্টা করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি।
গ্রিনকে পুল করতে গিয়ে অ্যালেক্স কেরির গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিন বছর পর দলে ফেরা এই ব্যাটার। আউট হয়েছেন মাত্র ১২ রানে। থিতু হলেও ইনিংস বড় করা হয়নি এলগারের। মার্নাস ল্যাবুশেনের দারুণ এক ফিল্ডিংয়ে রান আউট হয়ে ফিরেছেন ২৬ রান করা প্রোটিয়া কাপ্তান। লাঞ্চের আগে মিচেল স্টার্ককে উইকেট দিয়েছেন টেম্বা বাভুমা। লাঞ্চ থেকে ফিরে স্টার্কের বলে আউট হয়েছেন খাজা জন্ডো। এলগারের দল প্রথম ৫ উইকেট হারায় ৬৭ রানে। শেষ ৫ উইকেট পড়ে তাদের স্রেফ ১০ রানে।দুই ধসের মাঝে ১১২ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন মার্কো জেনসেন এবং কাইল ভেরেইনা। অর্ধশতক তুলে নেন দুইজনই। তবে হাফ সেঞ্চুরির পর তারা দুজনই আউট হয়েছেন। মজার বিষয় হচ্ছে দুইজনই গ্রিনের শিকার। এরপর আর কোন ব্যাটারই দাঁড়াতে পারেননি। এদিন গ্রিন বল হাতে নেন ৫ নাম্বার বোলার হিসেবে। অস্ট্রেলিয়ার সুদীর্ঘ টেস্ট ইতিহাসে এত পরে বল হাতে নিয়ে ৫ উইকেট নিতে পেরেছেন আর কেবল চারজন পেসার। সবশেষ এই একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ১৯৯৪ সালে স্টিভ ওয়াহ গড়েছিলেন এই কীর্তি।
শেষ বিকেলে ব্যাটিং করতে নেমে এক উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। কাগিসো রাবাদার লেংথ ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে আউট হয়েছেন ১ রান করা খাজা। টেস্টে পঞ্চমবারের মতো খাওয়াজাকে আউট করেছেন রাবাদা। প্রথম দিন শেষে ৪৫ রান তোলা অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অপরাজিত রয়েছেন ৫ রান করা ল্যাবুশেন। এ ছাড়া নিজের শততম টেস্ট খেলতে নামা ডেভিড ওয়ার্নার আপরাজিত ৩২ রানে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।