Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কর্তব্যে অবিচল গাভাসকর, মায়ের মৃত্যু সংবাদ পেয়েও ফিরলেন না ধারাভাষ্য ছেড়ে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ১০:০২ পিএম

বড়দিনের আনন্দের মধ্যেই দুঃসংবাদ নেমে এল ভারতীয় কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকরের জীবনে। না ফেরার দেশে চলে গেলেন তার মা মীনা গাভাসকর। বয়সজনিত কারণে বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। কিন্তু মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়েও নিজের কাজ ছেড়ে দেশে ফিরে আসেননি গাভাসকর। ঢাকায় বাংলাদেশ বনাম ভারতের দ্বিতীয় টেস্টে ধারাভাষ্য দিচ্ছিলেন তিনি। এই কথা জানতে পেরে প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটারকে কুর্নিশ জানিয়েছেন নেটিজেনরা।

সুনীল গাভাসকরের বেড়ে ওঠার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তার মা মীনাদেবীর। ক্রিকেটকে পেশা হিসাবে বেছে নিতেও মায়ের সমর্থন পেয়েছিলেন গাভাসকর। ছেলেবেলায় মা-ই ছিলেন লিটল মাস্টারের খেলার সঙ্গী। গাভাসকর যখন ছেলেবেলায় ব্যাটিং করতেন, তখন বোলিং করতেন তার মা মীনা দেবী। তবে বয়সের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন মীনাদেবী। ২০২২ সালের আইপিএল চলাকালীনও তাকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। আইপিএলেও ধারাভাষ্য দিতেন গাভাসকর, কিন্তু মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে জৈব সুরক্ষা বলয় ভেঙে বেরতে হয়েছিল তাকে।

২৫ ডিসেম্বর সকালেই জানা যায়, শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন মীনা গাভাসকর। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। যে সময় তার মৃত্যুর খবর আসে, সেই সময়ে উত্তেজক জায়গায় দাঁড়িয়ে ভারত-বাংলাদেশের দ্বিতীয় টেস্ট। জয়ের জন্য ১৪৫ রান তুলতে নেমে সাত উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে ভারত। দুই দলের হাড্ডহাড্ডি লড়াইয়ের মধ্যে নিজের কর্তব্যকেই এগিয়ে রেখেছিলেন ভারতীয় কিংবদন্তি। ব্যক্তিগত যন্ত্রণা ভুলে মাঠের পরিস্থিতি তুলে ধরেছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে।

ম্যাচ শেষের পরেও গাভাসকরের আচরণ থেকে বোঝা যায়নি যে এতবড় আঘাত পেতে হয়েছে তাঁকে। ভক্তদের আবদার মেটাতে বেশ কয়েকজনকে অটোগ্রাফও দেন তিনি। পরে যখন এই খবর ছড়িয়ে পড়ে, নেটিজেনদের অনেকেই সমবেদনা জানান গাভাসকরকে। কঠিন সময়ে তার পরিবারের শান্তি কামনা করেছে নেটদুনিয়া। সূত্র: টাইমস নাউ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ