গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
৬৪ জেলার রূপবৈচিত্র নিয়ে ভ্রমণ কাহিনি "মুগ্ধ নয়নে' বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। বিশাল কলেবরের বইয়ে বাংলাদেশের সকল ভ্রমণ বিষয়ক তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। রোববার (২৫ ডিসেম্বর) নগরীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে' ভ্রমণ পিপাসু তরুণ পরিভ্রাজক ওয়ালিউল্যাহ রিপনের ৬৪ জেলার রূপবৈচিত্র নিয়ে ভ্রমণ কাহিনি "মুগ্ধ নয়নে' বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
মুগ্ধ নয়নে' বইয়ের লেখক ওয়ালিউল্যাহ রিপন বলেন, ভ্রমণ আমার দারুণ প্রিয়। ১৯৮৮ সালে ডিঙি নৌকায় সেন্ট মার্টিন গেছি। সেই থেকেই ভ্রমণের প্রতি এক ধরণের নেশা হয়ে গেছে। আমার কোন সেভিংস নেই। খেয়ে পরে যা থাকে তা দিয়ে ভ্রমণ করি। দেশের ৬৪ জেলা ভ্রমণ করে বইটি লিখেছি। আপনারা বইটি পড়ে উপকৃত হবেন। একটা জেলায় এক মাসের বেশি সময় থেকেছি। প্রতিটা জেলার আনাচে-কানাচে লুকিয়ে থাকা সকল ধরণের তথ্য তুলে ধরেছি। বইটি অনেক পরিশ্রম করে লিখেছি। এটা যদি পাঠকের মনের খোরাপ মেটাতে পারে তবেই আমার শ্রম সার্থক হবে।’
নজরুল গবেষক ও কথাসাহিত্যিক প্রফেসর ড. আনোয়ারুল হক বলেন, বইটি মনের বই। মনের খোরাক পূরণে এটা পড়া দরকার। বাঙালি জাতি কিন্তু ভ্রমণ পিপাসু নয় ঘরকুনো মানুষ। খুব বেশি হলে কক্সবাজার যায়। যেখানে জন্ম হয়েছে তার চারপাশও অনেকের ঘুরে দেখা হয় না। তাই মুগ্ধ নয়নে বইটা পড়া দরকার। বইটি পড়লে ভালো লাগা জায়গা ও প্রিয় স্থানের বিষয়ে জানতে পারবো।’
বাংলা একাডেমি পুরুষ্কার প্রাপ্ত কবি বিমল গুহ বলেন, মুগ্ধ নয়নে গ্রন্থে ৬৪ জেলার রুপ বৈচিত্র লুকিয়ে রয়েছে। বইটি পড়লে বাংলার না দেখা জায়গার বিষয়ে ধারণা নেয়া যাবে। মানুষ জন্মগতভাবে পৃথিবীকে দেখতে চায়। লেখক বাংলাদেশের প্রতিটা জেলা ভ্রমণ করছেন এছাড়া ৩৫টা দেশ ভ্রমণ করেছেন। বইটি পড়লে মনের খোরাক মেটাবে।
কবি ও লেখক আাসলাম সানী বলেন, লেখক বেঁচে থাকলে সাহিত্য সমৃদ্ধ করবে। বইটিতে দেশের সকল চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশে পর্যটনের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে কিন্তু কাজে লাগানো যেত। কিন্তু আামরা নানা কারণে বিদেশি পর্যটক টানতে ব্যর্থ হচ্ছি। বইটি যদি সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া যায় তবে দেশের পর্যটন খাত আরও সমৃদ্ধ হবে।’
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সাহিত্য ও চলচ্চিত্র গবেষক হাসান রাউফুন, কবি ও রাজনীতিবিদ জিএম হারুন অর রশিদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।