মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মেক্সিকোর ইসলাস মারিয়াস দ্বীপপুঞ্জে অবস্থিত সবচেয়ে কুখ্যাত কারাগারটি নতুন যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে। তবে এবার আর কারাগার হিসেবে বন্দিদের আশ্রয়স্থল হবে না। এখন সেই কারাগারে ঘুরতে যাবেন পর্যটকরা। এরই মধ্যে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে ইসলাস মারিয়াসে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর শুক্রবার বিকালে ইসলাস মারিয়াস ট্যুরিস্ট সেন্টারের উদ্বোধন করেন। এর মাধ্যমে শতাব্দী প্রাচীন জেলখানাটি পর্যটনকেন্দ্রে রূপান্তরিত হলো। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, ইতিহাসপ্রেমী ভ্রমণপিপাসুদের কাছে এ কেন্দ্র অচিরেই জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর বলেন, পর্যটনকেন্দ্রটি হবে ভ্রমণের জন্য, প্রকৃতির মধ্যে বাস করে প্রকৃতিকে উপভোগ করার জন্য। ইতিহাস সৃষ্টির মাধ্যমে এটি হবে অন্য রকম এক ভ্রমণ। ইসলাস মারিয়াসের অবস্থান পশ্চিমের রাজ্য নায়ারিত থেকে ৬২ মাইল দূরে। ১৯০৫ সালে স্বৈরশাসক পোর্টফিরিও ডায়াসের আমলে এটি নির্মাণ করা হয়। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ২০১৯ সালে ক্ষমতা নেয়ার আগ পর্যন্ত এটি ব্যবহূত হয়েছে। ইউনেস্কোর জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ প্রকল্পের অংশ হিসেবে এ পর্যটনকেন্দ্রের দেখাশোনা করবে মেক্সিকোর নৌবাহিনী। মূল ভূখণ্ড থেকে পিউরতো বালেত্তো থেকে ফেরি ব্যবহার করে পর্যটনকেন্দ্রটিতে যেতে হবে। আগামী সপ্তাহ থেকেই ফেরি সার্ভিস চালু হবে। কারাগারে নির্মিত এ পর্যটনকেন্দ্রে দর্শক আকর্ষণ করতে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে মেক্সিকো সরকার। তৈরি করা হয়েছে ভিডিও। সরকারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, অতিথিদের জন্য থাকছে ভিলা, রেস্তোরাঁ, ক্যাফে ও সমুদ্রসৈকত। পুনর্গঠিত এ পর্যটনকেন্দ্রে আফ্রিকার অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার নামে একটি স্তম্ভও নির্মাণ করা হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার রবেন দ্বীপে দীর্ঘ ১৮ বছর কারাগারে কাটিয়েছেন তিনি। তার প্রতি সম্মান জানাতেই মেক্সিকোর এ উদ্যোগ। প্রমোশনাল ভিডিওতে বলা হয়েছে, যারা নিজের আদর্শ দিয়ে সমাজে পরিবর্তন আনতে চান, কারাগারের দেয়ালও তাদের জন্য বাধা নয়। এ কারাগারে বিভিন্ন সময়ে বসবাস করেছেন অনেক রাজনৈতিক বন্দি। যার মধ্যে মেক্সিকোর প্রভাবশালী লেখক ও বামপন্থী আন্দোলনের নেতা জোস রেভ্যুয়েলটাসও ছিলেন। মহামারীর কারণে পর্যটন ব্যবসায় যে ধস নেমেছিল তা পর্যায়ক্রমে কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে বিশ্বের দেশগুলো। সংক্রমণ কমায় বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার পর থেকে মেক্সিকোর পর্যটন ব্যবসা রীতিমতো ফুলেফেঁপে উঠতে শুরু করেছে। এক বছর আগের সময়ের তুলনায় গত ১০ মাসে বিদেশী পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে ৫৬ দশমিক ৪ শতাংশ। মহামারীর আগের সময় অর্থাৎ ২০১৯ সালের তুলনায় তা বেড়েছে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।