বিশ্বজুড়ে পুলিশ স্টেশন স্থাপন করছে চীন। বৈশ্বিক পরাশক্তি হয়ে ওঠার চেষ্টায় এসব পুলিশ স্টেশন বসানো হচ্ছে বলে সম্প্রতি দাবি করেছে নিউইয়র্কভিত্তিক অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম রিপোর্টিকা। এবার ডিরেক্টআস.জিআরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে রয়েছে চীনা পুলিশের একটি বিশেষ ইউনিট।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সেখানকার অফিসগুলোতে চীন থেকে আসা ভিন্নমতাবলম্বীদের খুঁজে বেড়ানো হয়। তাদের দেশে ফিরতে বলা হয়; অন্যথায় তাদের রাজনৈতিক পছন্দের জন্য পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুমকি দেয় এবং ব্ল্যাকমেইল করে।
এর আগে চীনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম রিপোর্টিকা’র প্রতিবেদনে বলা হয়, চীন এরই মধ্যে কানাডা, আয়ারল্যান্ডসহ বিশ্বের ২১টি দেশে অন্তত ৩০টি পুলিশ স্টেশন চালু করে ফেলেছে।
ভিন্নমতের লোকদের ভয়ভীতি দেখানো, অপহরণ এবং জোরপূর্বক চীনে স্থানান্তরের কথা তুলে ধরা হয়েছে ডিরেক্টআসের প্রতিবেদনে। সাংবাদিক ভ্যাসিলিস ল্যামব্রোপোলোসের এক্সক্লুসিভ তথ্য অনুসারে, চীনা পুলিশের একটি বিশেষ ইউনিট এথেন্সে রয়েছে।
সংবাদপত্রটি প্রকাশ করে, এথেন্সের কেন্দ্রস্থলে এজেসিলাউ স্ট্রিটে চীনা পুলিশ বিভাগের একটি শাখা রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, ভবনটির স্টোরফ্রন্ট চীনা নাগরিকদের জন্য একটি অনুমিত পরিষেবা অফিস হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
চীনের পাবলিক সিকিউরিটি ব্যুরোর (পিএসবি) সঙ্গে সম্পর্কিত এ স্টেশনগুলো। চীনের পক্ষ থেকেও এমন স্টেশন বসানোর কথা স্বীকার করা হয়েছে। তবে দেশটির কর্তৃপক্ষের দাবি, এসব স্টেশন আন্তর্জাতিক অপরাধ ও অভিযান চালাতে স্থাপন করা হয়েছে।
কানাডার গ্রেটার টরোন্টো এলাকাতেই এ ধরনের অন্তত তিনটি স্টেশন চালু করা হয়েছে। এ ছাড়া স্টেশন বসানো হচ্ছে ইউক্রেন, ফ্রান্স, স্পেন, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যে।