আফগানিস্তানে নারীদের জন্য উচ্চশিক্ষা গ্রহণ নিষিদ্ধ করায় রাজধানী কাবুলে বিক্ষোভ করেছেন কয়েক ডজন নারী। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজ জানিয়েছে, তালেবান সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে নারীদের শিক্ষা ও কাজের সুযোগের দাবিতে বৃহস্পতিবার তারা এই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।
গত মঙ্গলবার তালেবান সরকার বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে নারীদের শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ বাতিলের ঘোষণা দেয়। বিক্ষোভকারীরা বলছেন শিক্ষার সুযোগের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
জুলিয়া পারসি নামের এক বিক্ষোভকারী জানান, তালেবান সরকার অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। আর আফগান নারীদের কণ্ঠস্বর হিসেবে তারা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বাসির হোসাইনির ভাষ্য, “আমরা বিক্ষোভ করছি এই বলে যে- ‘সবার জন্য শিক্ষা, নাহলে কারো জন্য নয়’।
টোলো নিউজ জানিয়েছে, তালেবানের সিদ্ধান্ত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাড়া ফেলেছে। ধর্ম সমালোচক আহমদ রহমান আলীজাদা বলেন, “ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে নারীদের লেখাপড়া, শেখার ও শিক্ষিত হওয়ার অধিকার রয়েছে।”
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্র নীতির প্রধান জোসেপ বোরেল জানান, আফগান নারীদের জন্য উচ্চ শিক্ষার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় তালেবানের প্রতি নিন্দা জানিয়েছে তারা।
টুইটে বোরেল লিখেন, “আফগানর নারীদের জন্য উচ্চ শিক্ষার সুযোগ বন্ধ করা তালেবানের সিদ্ধান্তের কঠোর নিন্দা জানাচ্ছে ইইউ। এটি বিশ্বের একক এক পদক্ষেপ যা আফগানদের অধিকার ও আকাঙ্ক্ষা লঙ্ঘন করে এবং সমাজে নারীদের অবদান থেকে আফগানিস্তানকে বঞ্চিত করে।”
২০ ডিসেম্বর জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, তালেবানের সিদ্ধান্তে তিনি শঙ্কিত। মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেন, আফগানিস্তানে সকল স্তরে মেয়েদের সমান শিক্ষার সুযোগ নিশ্চতে জাতিসংঘ মহাসচিব তালেবানকে আহ্বান জানিয়েছেন।