মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : ইসরাইল কর্তৃক পশ্চিমতীর দখলের প্রচেষ্টায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইইউ। গত ৭ ডিসেম্বর ইসরাইলি পার্লামেন্ট নেসেটে বিতর্কিত সেটেলমেন্ট রেগুলারাইজেশন বিল বা বসতি নিয়মিতকরণ পাস হয়। এই বিলের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের ব্যক্তিগত ভূমিতে ইসরাইলি অবৈধ জনবসতি নির্মাণকে বৈধতা দেয়া হয়। গত সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা প্রধানত জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য এবং ইইউ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ইসরাইলি ডানপন্থি জোটের এই পদক্ষেপের তাৎপর্য নিয়ে অভ্যন্তরীণ আলোচনায় বসে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার জোটের স্থায়িত্ব রক্ষা করার জন্য বিলটি একটি সহজ কৌশলগত রণকৌশল বলে মনে করছেন না নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক ইইউর উচ্চ প্রতিনিধি ও ইউরোপীয় নেতৃত্ব। এর পরিবর্তে তারা এটাকে নেতানিয়াহু ও শিক্ষামন্ত্রী নাফতালি বেনেটের ইচ্ছাকৃত একটি প্ররোচিত নীতি হিসেবে দেখছে।
বিলটি হাইকোর্টে পাস করা হবে কিনা তা ইসরাইলের বিচার বিভাগের জন্য একটি পরীক্ষা। কিন্তু নেতানিয়াহু স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন যে, তিনি এ অঞ্চল অর্ধ মিলিয়ন ইসরাইলির জন্য বসতি স্থাপন করতে চান। নেতানিয়াহুর স্পষ্ট সংকেত, যতটা সম্ভব পশ্চিমতীরের অধিকাংশ এলাকা ইসরাইলের হাতে থাকবে। আগামী ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পশ্চিমতীরের ‘আমোনা ফাঁড়ির’ বসতি খালি করতে ইসরাইলি হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে তা নেতানিয়াহুকে বাধ্য করবে বলে ইইউ সদর দপ্তরের বিরাজমান বিশ্বাস। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ‘বসতি নিয়মিতকরণ’ বিলের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ নেয়া েেয়ত পারে সে সম্পর্কে ইইউ এখন অনানুষ্ঠানিকভাবে তার মূল সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করবে। এ বিষয়ে ব্রাসেলস চারটি ব্যবস্থা বিবেচনা করছে। এর মধ্যে নিন্দা জানানো থেকে শুরু করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া। টেবিলের ওপর প্রথম সম্ভাবনা (এমনকি হাইকোর্টে আইনটি পরীক্ষা করে দেখার আগেই) একটি তাৎক্ষণিক কঠোর সতর্কবাণী। ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত কর্তৃক ইসরাইলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ সতর্ক বার্তা দেয়া হতে পারে। দ্বিতীয় সম্ভাব্য পদক্ষেপ হচ্ছে ইসরাইলি এই বিলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইনের ব্যবহার। এ ধরনের একটি পদক্ষেপে আন্তর্জাতিক আইনের তাৎপর্য পরীক্ষা করতে ইইউ আইন বিশেষজ্ঞদের বলা হয়েছে এবং একই সঙ্গে হেগের আন্তর্জাতিক আদালত বিষয়টি কীভাবে দেখবে- সেটিও পরীক্ষা করে দেখতে বলা হয়েছে। এছাড়াও এই আইনটি বলবৎ করা হলে ইসরাইলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার কথা বিবেচনা করছে ইইউ। এতে ইসরাইলি বসতিতে তৈরি করা পণ্যের লেবেলে আরো একটি অনমনীয় নীতি অন্তর্ভুক্ত হতে পারে এবং পূর্ব ‘গ্রিন লাইনে’ ইসরাইলি প্রতিষ্ঠানের জন্য সক্রিয় সকল ইইউ-ইসরাইল অর্থনৈতিক চুক্তি বাধাগ্রস্ত করতে পারে। ইইউ সদস্যদের বিশেষ করে ফ্রান্সের জন্য চতুর্থ সম্ভাব্য পদক্ষেপ হচ্ছে ইসরাইলি এই আইনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে বিষয়টি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তোলা। যেখানে বিলটি রদের জন্য আহ্বান জানানো হতে পারে এবং এটার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আন্তর্জাতিক আদালতকে উৎসাহিত করা হতে পারে। তবে ইসরাইলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আপাতত ইইউ বাতিল করে দিয়েছে। সাম্প্রতিক ইইউর অভ্যন্তরীণ আলোচনায় বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে। জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এ ধরনের নিষেধাজ্ঞায় নীতিগতভাবে বিরোধিতা করেন। একই সময়ে, জার্মানরা দ্ব্যর্থহীনভাবে বসতি নিয়মিতকরণ বিলে তাদের আপত্তি জানায়। গত ৮ ডিসেম্বর জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই বিল সম্পর্কে তারা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের বিল আন্তর্জাতিক আইনে লঙ্ঘন এবং এর মাধ্যমে ‘দুই রাষ্ট্র’ কেন্দ্রিক সমাধান খুঁজে বের করার জন্য ইসরাইলের প্রতিশ্রুতিকে খাটো করে। বিষয়টি নিয়ে রামাল্লায় ফিলিস্তিনি নেতৃত্বের সঙ্গে ইইউর ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। এ বিষয়ে ফিলিস্তিনের অবস্থানকে তারা সমর্থন করছেন এবং বিলটি রদ করতে সম্ভাব্য সব ধরনের প্রচেষ্টায় সহায়তার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছে। এই আলোচনার সঙ্গে জড়িত ‘পিএলও’র একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম গোপন রাখার শর্তে আল মনিটর জানান, এই আইন বাতিলের জন্য এবং ইসরাইলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব বিশ্বব্যাপী প্রচারণা চালাচ্ছে। আল মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।