নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ক্রিকেট থেকে পুরাপুরি বিদায়ের আগেই এবার পাকিস্তানের নির্বাচকের দায়িত্ব পেলেন এই তারকা ক্রিকেটার। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে নাজাম শেঠি ফেরার পর সব কমিটিতে পরিবর্তন আসছে। এর পথ ধরেই জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচকের অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব পেয়েছেন শাহিদ আফ্রিদি।
দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের ওয়েবসাইটে শনিবার দেওয়া বিবৃতিতে তিন সদস্যের নির্বাচক কমিটিতে আফ্রিদির সাবেক সতীর্থ আব্দুর রাজ্জাক ও রাও ইফতেখার আঞ্জুমের নামও ঘোষণা করা হয়। এই কমিটিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজের জন্য। সম্প্রতি অব্যাহতি পাওয়া সাবেক প্রধান নির্বাচক মোহাম্মদ ওয়াসিমের কমিটি আগেই এই সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করেছে। আফ্রিদির কমিটির দায়িত্ব হবে এই দলটি পর্যালোচনা করা।
পিসিবির সাবেক প্রধান রমিজ রাজাকে হটিয়ে গত বৃহস্পতিবার নাজাম শেঠিকে প্রধান করে ১৪ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি বসানো হয়। আর পরদিন ২০১৯ সালের নতুন গঠনতন্ত্র অনুযায়ী গঠিত সব কমিটি ভেঙে দেন বোর্ড প্রধান। আফ্রিদিকে নির্বাচক কমিটির প্রধান হিসেবে পেয়ে দারুণ খুশি নাজাম শেঠি।
বিবৃতিতে নতুন এই কমিটির ওপর পূর্ণ আস্থা রেখে তিনি বলেন, ‘পুরুষদের অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় দলের নির্বাচক কমিটিকে আমি স্বাগত জানাই। আমার মনে কোনো দ্বিধা নেই যে, হাতে অল্প সময় থাকার পরও তারা সাহসী সিদ্ধান্ত নেবেন এবং আসছে নিউ জিল্যান্ড সিরিজের জন্য আমরা শক্তিশালী ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক দল গঠন করতে পারব।’
তিনি বলেন,‘শাহিদ আফ্রিদি আক্রমণাত্মক ক্রিকেটার ছিলেন, কোনোরকম ভয়ভীতি ছাড়াই সব ধরনের ক্রিকেট খেলেছেন তিনি। তার প্রায় ২০ বছরের ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা আছে, সব সংস্করণেই পেয়েছেন দারুণ সব সাফল্য। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, সবসময় দলের তরুণ মেধাবীদের সমর্থন করেছেন, পাশে থেকেছেন তিনি।’
১৪ সদস্যের ওই পরিচালনা পর্ষদে আফ্রিদির নাম ঘোষণা করা হয়। শুরুতে অবশ্য তিনি নতুন দায়িত্বে তেমন আগ্রহী ছিলেন না। কারণ হিসেবে তিনি আরও বলেন,‘পিসিবি ম্যানেজমেন্ট কমিটির দায়িত্ব পেয়ে আমি সম্মানিত বোধ করছি এবং আমার সামর্থ্যের সবটুকু দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। আমাদের আবারও জয়ের ধারায় ফিরতে হবে এবং সেটা মেধাভিত্তিক ও কৌশলগতভাবে দল গঠনের মাধ্যমেই সম্ভব। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে জাতীয় দলকে ভালোমতো পারফর্ম করতে সাহায্য করব আমরা এবং তাতে যেন সমর্থকদের আস্থা ফেরে।’
সম্প্রতি ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন টেস্টের সিরিজে সবকটিতে হারে পাকিস্তান। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে এই প্রথম দেশের মাঠে তিন ম্যাচের কোনো সিরিজে হোয়াইটওয়াশড হওয়ার বিব্রতকর অভিজ্ঞতা হয় দলটির। ফলে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আগামী সোমবার প্রথম টেস্টে মাঠে নামবে পাকিস্তান। এরপর ৩ জানুয়ারি মুলতানে শুরু হবে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। সিরিজটি আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়শিপের অংশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।