Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাভার্ডভ্যান থেকে ড্রাইভারদের সহযোগিতায় রপ্তানির পোশাক চুরি করত চক্রটি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশের সময় : ২৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ৪:১২ পিএম

বিভিন্ন দেশে রপ্তানি গার্মেন্টস মালামাল চুরি করা একটি চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৪। মালামাল পরিবহনে নিয়োজিত চালকদের সঙ্গে যোগসাজশে কাভার্ডভ্যান থেকে নিজেদের লোড-আনলোড পয়েন্টে নিয়ে বিশেষ কৌশলে সিলগালা তালা না খুলে কার্টনের ভেতরে থাকা মালামাল নামাতো এবং ৩০ বা ৪০ শতাংশ মালামাল রেখে আগের মতো কার্টন বাধাই করে কাভার্ডভ্যানে লোড করতো। চক্রটি কার্টনের মালামালের ওজন ঠিক রাখতে যে পরিমাণ মালামাল নামাতো সেই পরিমাণ ঝুট মালামালের মাঝখানে দিয়ে কার্টন প্যাকেটস করায় স্ক্যানিং কিংবা ওয়েট মেশিনে কোনও অনিয়ম দেখা যেত না।

শুক্রবার রাতে রাজধানীর ডেমরা এলকা থেকে ওই চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. তাওহিদুল কাউছার (৪২), মো. নাজিম (৩৫), মো. মাসুদ (৩৫), মো. দুলাল (৪৫), মো. মিরাজ উদ্দিন (৩৩), আব্দুল আল মাসুদ (৩০), মো. সাইফুল ইসলাম (২২)। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ পোশাক সামগ্রীসহ একটি কাভার্ডভ্যান জব্দ করা হয়।

শনিবার দুপুরে র‌্যাব-৪-এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল মোহাম্মদ আবদুর রহমান সাক্ষরিত এসব তথ্য জানায়।

গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র‍্যাব জানায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে মালামাল পরিবহনে নিয়োজিত চালকদের সঙ্গে তারা একটি চক্র গড়ে তোলে। এভাবে বিগত কয়েক বছর ধরে কাভার্ডভ্যান থেকে গার্মেন্টস মালামাল চুরি করেল স্থানীয় মার্কেটে চোরাইপথে কমদামে বিক্রি করে আসছিল তারা।

র‍্যাব-৪ এর অধিনায়ক বলেন, চক্রটি কাভার্ডভ্যানের চালকদের বিভিন্ন প্রকার লোভ দেখিয়ে এবং ডাকাতির মালামাল বিক্রির টাকার একটি অংশ দেয়ার প্রলোভন দেখাতো। নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া কাভার্ডভ্যান ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নিকটবর্তী নির্জন এলাকায় কিংবা সুবিধাজনক কোনও স্থানে পার্কিং করাতো।

পরে কাভার্ডভ্যানকে নিজেদের লোড-আনলোড পয়েন্টে নিয়ে বিশেষ কৌশলে সিলগালা তালা না খুলে কার্টনের ভেতরে থাকা মালামাল নামাতো এবং ৩০ বা ৪০ শতাংশ মালামাল রেখে আগের মতো কার্টন বাধাই করে কাভার্ডভ্যানে লোড করতো। পরে কাভার্ডভ্যানে চালক চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দিতো।

লে. কর্নেল মোহাম্মদ আবদুর রহমান বলেন, চক্রটি কার্টনের মালামালের ওজন ঠিক রাখতে যে পরিমাণ মালামাল নামাতো সেই পরিমাণ ঝুট মালামালের মাঝখানে দিয়ে কার্টন প্যাকেটস করতো। ফলে বন্দরে স্ক্যানিং কিংবা ওয়েট মেশিনে কোনও অনিয়ম পরিলক্ষিত হতো না।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রটি গার্মেন্টস মালামাল চুরি করার ফলে বিদেশি ক্রেতা সঠিকভাবে ও সঠিকসময়ে মালামাল ডেলিভারি না পাওয়ায় মালামা*ল্ললল্লললে মূল্য পরিশোধ করতো না এবং ক্রয়াদেশ দিতো না। এছাড়াও সঠিক সময়ে ক্রেতাদের কাছে নির্ধারিত পণ্য না পৌঁছায় তারা ব্যবসায়ীদের প্রতি আস্থা হারাত বলেও জানান র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ