নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
২০২৩ সালের আইপিএলের নিলামে প্রথম দফায় বিক্রি হলেন না সাকিব আল হাসান। দেড় কোটি ভিত্তিমূল্যে নিবন্ধন করেছিলেন সাকিব। তবে কোনো দলই এই মূল্যে সাকিবের প্রতি আগ্রহ দেখায়নি। এর আগে এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে হওয়া মেগা নিলামেও তাকে কেনেনি কোনো দল। দল পাননি লিটন দাসও। ৫০ লাখের ক্যাটাগরিতে নিবন্ধন করেছিলেন এই ওপেনার। দল পাননি পেসার তাসকিন আহমেদও। তাদের পাশাপাশি পরিচিত নামের মধ্যে এখনো পর্যন্ত অবিক্রীত আছেন জো রুট ও রাইলি রুশো। গতকাল কোচির গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে হয়েছে দিনব্যাপি এবারের আইপিএলের মিনি নিলাম। প্রথম দফায় অবিক্রীত থাকলেও, কোনো দল যদি চায় এখনো সাকিব ও লিটনকে দলে ভেড়াতে পারবে। তবে তা নির্ভর করছে দলগুলির চাহিদা ও জায়গা ফাঁকা থাকার ওপরে। সব দল মিলিয়ে দলগুলো কিনতে পারবে ৮৭ জন ক্রিকেটার, তার মধ্যে বিদেশি সর্বোচ্চ ৩০ জন।
প্রাথমিক তালিকায় থাকা ৪০৫ জনের মধ্যে আছে চার বাংলাদেশি ক্রিকেটারের নাম। ৫০ লাখের ক্যাটাগরিতে আছেন তাসকিন আহমেদ, লিটন দাস, আফিফ হোসেন। প্রাথমিক তালিকা থেকে চূড়ান্ত তালিকায় জায়গা হয়নি বাংলাদেশের নাসুম আহমেদ ও শরিফুল ইসলামের। আইপিএলের গত আসরে সাকিবকে না কেনায় বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি ছিলেন বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। এবার তাকে ধরে রেখেছে দিল্লি ক্যাপিটালস।
আইপিএল খেলার অভিজ্ঞতা নেই লিটনের। তাসকিনের সামনে গত আসরে খেলার সুযোগ এলেও খেলা হয়নি তার। অন্যদিকে ২০১১ সালে প্রথম আইপিএলে খেলেছিলেন সাকিব, কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) হয়ে। ২০১২ সালে টানা দ্বিতীয় মৌসুম খেলার পর ২০১৩ সালে তিনি চোটের কারণে খেলতে পারেননি একটি ম্যাচও। তবে কলকাতার স্কোয়াডে ছিলেন। ২০১৪ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত চার মৌসুম খেলার পর কলকাতা তাঁকে ছেড়ে দেয়। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে তিনি খেলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদে। কেবল নিষিদ্ধ থাকার কারণে ২০২০ সালে আইপিএলে ছিলেন না বাংলাদেশের অলরাউন্ডার। ২০২১ সালে কলকাতায় আবারও ফেরেন তিনি। তবে প্রত্যাশামতো পারফরম্যান্স করতে পারেননি। টানা দুই নিলামেই কেউ কিনল না তাঁকে। নিলামে বিক্রি না হলেও খেলার সম্ভাবনা থাকে। কোনো ক্রিকেটার চোট বা অন্য কারণে আইপিএল খেলতে না পারলে তখন বদলি হিসেবে খেলতে পারেন সাকিব।
এদিকে আইপিএলের নতুন মৌসুমের নিলামে ইতিহাস গড়ে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হলেন স্যাম কারেন। এ বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেরা খেলোয়াড় ও ফাইনালে ম্যাচসেরা হওয়া ইংল্যান্ড অলরাউন্ডারকে ১৮ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে কিনেছে পাঞ্জাব কিংস। রেকর্ডটি এত দিন দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ডার ক্রিস মরিসের দখলে ছিল। গত বছর ১৬ কোটি ২৫ লাখ রুপিতে তাকে কিনেছিল রাজস্থান রয়্যালস। কারেনকে কিনে সেই ইতিহাস নতুন করে লিখল পাঞ্জাব।
আইপিএলের এবারের নিলামে মোট ৪০৫ খেলোয়াড় অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে ভারতীয় ক্রিকেটার ২৭৩জন। বিদেশি ক্রিকেটার ১৩২ জন। বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে ৪জন ক্রিকেটার সহযোগী দেশের। মোট ৮৭জন খেলোয়াড় কিনতে পারবে ১০টি ফ্র্যাঞ্চাইজি। এর মধ্যে বিদেশি খেলোয়াড়দের জন্য ৩০টি জায়গা আছে। আগামী বছর মার্চের শেষ সপ্তাহে শুরু হওয়ার কথা আইপিএলের নতুন মৌসুম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।