নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দেশের অ্যাথলেটিক্স যেন একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। যার প্রমাণ জাতীয় প্রতিযোগিতার ১০০ মিটার স্প্রিন্ট। ঘুরে-ফিরে সেই একই মুখ! নতুনদের অ্যাথলেটদের উঠে আসার কোন লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে দ্রুততম মানব-মানবীর নতুন মুখ উপহার দিতে খুব বেশি আগ্রহী নয় বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন। বরাবরের মতো এবারও জাতীয় অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতার ১০০ মিটার স্প্রিন্টে সেরা হয়ে দ্রুততম মানব ও মানবীর খেতাব জিতেছেন লন্ডন প্রবাসী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্প্রিন্টার ইমরানুর রহমান এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর শিরিন আক্তার। গতকাল বনানীস্থ বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া জাতীয় অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতার ১০০ মিটার স্প্রিন্টে সেনাবাহিনীর ইমরানুর রহমান দৌঁড় শেষ করেন ১০.৪৯ সেকেন্ডে (ইলেক্ট্রোনিক)। হ্যান্ডটাইমিংয়ে যা দেখাচ্ছে ১০.১৬ সেকেন্ড। অবশ্য ইমরানুরের সেরা টাইমিং ছিল তুরস্কের ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে ১০.০১ সেকেন্ড। এই ইভেন্টে ইলেক্ট্রোনিক্স টাইমিংয়ে ১০.৭১ সেকেন্ডে দৌঁড় শেষ করে দ্বিতীয় হয়েছেন নৌবাহিনীর রাকিবুল হাসান। আর একই দলের সাবেক দ্রুততম মানব মো. ইসমাইল ১০.৭৩ সেকেন্ড সময়ে তৃতীয় হয়েছেন।
এটা ইমরানুর রহমানের টানা তৃতীয়বার দ্রুততম মানবের খেতাব জেতা। এদিকে নারীদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে নৌবাহিনীর শিরিন আক্তার সময় নিয়েছেন ১২.২০ সেকেন্ড (ইলেক্ট্রোনিক্স)। হ্যান্ডটাইমিংয়ে যা ধরা পড়েছে ১১.৯২ সেকেন্ড। এই ইভেন্টে রুপা জেতা সেনাবাহিনীর সুমাইয়া দেওয়ান সময় নিয়েছেন ১২.২৯ সেকেন্ড এবং ব্রোঞ্জ জেতা বাংলাদেশ আনসারের কবিতা রায় সময় নেন ১২.৩৯ সেকেন্ড। এবারেরটা নিয়ে টানা ১৪বার দ্রুততম মানবীর খেতাব জিতলেন শিরিন আক্তার।
এর আগে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর মূখ্যসচিব এবং অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সভাপতি মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। প্রতিযোগিতার প্রথম দিনেই ২টি নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েছেন অ্যাথলেটরা। এর মধ্যে হাইজাম্পের নারী বিভাগে ১.৭৫ মিটার লাফিয়ে নতুন রেকর্ড গড়েন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মোছাম্মৎ ঋতু আক্তার। পূর্বে ২০২১ সালে এই ইভেন্টে ১.৭০ মিটার লাফিয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন ঋতু। এাড়া নারীদের ৪*১০০মিটার রিলে ইভেন্টে ৪৮.১০ সেকেন্ড সময় নিয়ে নতুন রেকর্ড গড়েন সেনাবাহিনীর শরিফা খাতুন, সুমাইয়া দেওয়ান, বর্ষা খাতুন ও সনিয়া আক্তার। ২০১৯ সালে এই ইভেন্টে রেকর্ড গড়েছিলেন নৌবাহিনীর শিরিন আক্তার, সোহাগী আক্তার, তামান্না আক্তার ও দিশা সুলতানা। তারা সময় নিয়েছিলেন ৪৮.২৯ সেকেন্ড। তিনদিন ব্যাপী প্রতিযোগিতার প্রথমদিন কাল সন্ধ্যা পর্যন্ত মোট ১৪টি ইভেন্টের খেলা শেষ হয়েছে। সাত স্বর্ণ, পাঁচ রৌপ্য ও চারটি ব্রোঞ্জসহ মোট ১৬টি পদক জিতে পদক তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে সেনাবাহিনী। ছয় সোনা, আট রুপা ও চার ব্রোঞ্জসহ ১৮টি পদক পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে নৌবাহিনী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।