নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকে আনন্দের আবহে কাটছে লিওনেল মেসির একেকটি দিন। এর মাঝেও অন্যরকম ছিল বৃহস্পতিবারের সকাল। তাকে নিয়ে লেখা একটি বইয়ের অংশবিশেষ শুনে আবেগে ভেসেছেন মেসি, ঝরিয়েছেন আনন্দাশ্রু। পরে লেখকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেও ভোলেননি আর্জেন্টিনার অধিনায়ক।
মেসির ক্যারিয়ারের শুরুর দিনগুলোর সংগ্রাম থেকে আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ জেতার পুরো যাত্রাকে দুই মলাটে আবদ্ধ করে ‘লিওনেলের সুটকেস’ নামের বই লিখেছেন আর্জেন্টাইন লেখক ও প্রকাশক এর্নান কাসিয়ারি। এ বইয়ের সারাংশমূলক একটি কলাম রেডিও অনুষ্ঠান পেরোস ডে লা কাইয়েতে পড়ে শোনান উপস্থাপক আন্দি কুজনেতসফ। গতপরশু সকালে ঘুম ভাঙার পর ফোন টিপতে টিপতে ওই অনুষ্ঠানের সেই ভিডিও ক্লিপ মেসির চোখে পড়ে। স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোর সঙ্গে পুরোটা দেখেন মেসি। জীবনের শুরুর দিনগুলো থেকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার এ যাত্রা ছুঁয়ে গেছে মেসি ও তার স্ত্রীকে। সেটি দেখে দুজনের কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি বলে এক অডিওবার্তায় জানান মেসি। ওই ভিডিও দেখে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মেসির পাঠানো অডিওবার্তা রেডিও অনুষ্ঠানে সম্প্রচার করেন আন্দি, ‘হাই আন্দি কেমন আছ? নাহ! তেমন কিছু না। আমি তোমাকে এ বার্তা দিচ্ছি মূলত... ঘুম থেকে ওঠার পর আন্তোর (আন্তোলেন্না) সঙ্গে বসে ছিলাম। আমি টিকটক দেখা শুরু করি। তখন দেখলাম, তুমি কী বলেছ। সত্যি বলতে এটি অসাধারণ ছিল। জেনে খুশি হয়েছি যে, তুমি সুস্থ আছো এবং (রেডিওতে) যা বলেছ খুব হৃদয়স্পর্শী ছিল।’
পাশাপাশ বইয়ের লেখক এর্নানের প্রতি ভালোবাসা জানাতেও ভোলেন নি মেসি, ‘কিছুক্ষণ পর আন্তো আমাকে এর্নানের লেখার কথা বলে। সে (এর্নান) যা লিখেছে, যা বলেছে... এর পেছনের সত্যটা খুবই গভীর ছিল। আমরা দুজনই কাঁদতে শুরু করি, কারণ সবকিছুই সত্যি ছিল। এই তো! আর কিছু নয়। আমি তোমাদের দুজনকে ধন্যবাদ দিতে চাই এবং জানাতে চাই যে, আমরা শুনেছি। এটি আমাদের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। তোমাদের জন্য অনেক ভালোবাসা। আবারও অনেক ধন্যবাদ।’ মেসির এই অডিওবার্তা এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
এর্নান তার বইয়ে মেসির বার্সেলোনা অধ্যায়ের একদম শুরু থেকে শুরু করে ক্লাব ফুটবলে রাজত্ব, আর্জেন্টিনার হয়ে শিরোপা জিততে না পারার হতাশা এবং শেষ পর্যন্ত বহুল প্রতীক্ষার বিশ্বকাপ জেতার ঘটনা তুলে ধরেছেন। তবে বইয়ের নাম ‘লিওনেলের সুটকেস’ রাখার পেছনে রয়েছে একটি আলাদা গল্প।
স্রেফ ১৩ বছর বয়সে নিজ জন্মস্থান রোসারিও ছেড়ে স্পেনের বার্সেলোনায় পাড়ি জমান মেসি। প্রায় ১৫ বছর স্পেনে কাটানো লেখকের ভাষ্য অনুযায়ী, তখন বা তারও আগে দেশ ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যাওয়া আর্জেন্টাইন প্রবাসীদের মধ্যে দুইরকম প্রবৃত্তি দেখা যেত। একদল ছিল যারা নতুন দেশে গিয়ে সুটকেস তুলে ফেলতেন স্টোর রুমে। যার মানে, নিজ দেশে ফেরার কোনো ইচ্ছা নেই তাদের। আর অন্যদিকে মেসির মতো অন্য দল সবসময় তাদের সুটকেস রাখতেন হাতের কাছে। অর্থাৎ সুযোগ পেলেই দেশে ফিরে যাবেন তারা।
সেই ছোট্ট মেসি প্রতি বছরই নিজের সুটকেস নিয়ে (রূপকার্থে) ফিরেছেন দেশে। বড়দিনের ছুটি কখনও রোসারিওর বাইরে কাটাননি তিনি। এমনকি ছুটির পরপর স্পেনে ক্লাব ফুটবলের ম্যাচ থাকলেও না। সেই সুটকেসে করেই এবার আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপের ট্রফি এনে দিয়েছেন মেসি, এমনটা বোঝাতেই বইয়ের ভিন্নরকম নাম দিয়েছেন এর্নান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।