ইরানের চাবাহারে ভারতের ক্রমবর্ধমান আগ্রহ চীনের বিশাল বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) অবকাঠামো প্রকল্পের বিরুদ্ধে আংশিক পাল্টা পদক্ষেপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চাবাহার বন্দর ওমান সাগর থেকে ভারত মহাসাগর ও স্থলবেষ্টিত আফগানিস্তান এবং মধ্য এশিয়ার নতুন প্রবেশদ্বার তৈরি করেছে। খুলে দিয়েছে আঞ্চলিক বাণিজ্য ও প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার পথ।
অন্যদিকে পাকিস্তানের গোয়াদার শহরের গোয়াদর বন্দরে চীনের সহায়তা ও চীন-পাকিস্তান ইকনোমিক করিডোর (সিপিইসি) নিয়ে ভারত উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছে এশিয়ান লাইট ইন্টারন্যাশনাল। তবে চাবাহার বন্দরে ভারতের সংশ্লিষ্টতার গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত দিক রয়েছে। এর মাধ্যমে ভারতের প্রভাব বৃদ্ধি পাবে এবং আঞ্চলিক বাজারে উপস্থিতি ও ইন্দো-ইরানিয়ান মৈত্রীর মাধ্যমে চীন এবং চীন-পাকিস্তান সহযোগিতা হ্রাস পাবে।
চলতি ডিসেম্বরের শুরুতে আফগানিস্তানের তালেবান সরকার চাবাহার বন্দর ব্যবহারের জন্য প্রকাশ্য সমর্থন জানিয়েছে। ২০১৬ সাল থেকে চাবাহা বন্দরে শহীদ বেহেস্তি বন্দর নির্মাণ করছে ভারত। ওই সময়ে ৫০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ভারত। পরবর্তীতে দেশটি ইন্দো-ইরান বন্ধন শক্তিশালী করে ক্রমবর্ধমান সিনো-পাকিস্তান সহযোগিতাকে মোকাবিলা করতে পারে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মধ্য এশিয়া অঞ্চলে বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে উচ্চভিলাসী ও ব্যয়বহুল লক্ষ্য স্থির করেছে ভারত। তবে আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়া অঞ্চলে ভারতের বাণিজ্য পাকিস্তানের ভেতর দিয়ে স্থলপথের কারণে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। যদিও চাবাহারে ইরানের নতুন বন্দর ভারতের বাণিজ্যের সম্ভাবনা তৈরি করেছে।