বিশ্বকাপ ফাইনাল শেষ হওয়ার কয়েকদিন পেরোলেও এখনো সেই রাতের ঘোর ভালভাবে কাটেনি।এখনো নিজেদের দেশে ট্রফি নিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা দলের উৎসবে যোগ দিচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। টানা দ্বিতীয়বার ট্রফি জেতার সুযোগ হারানো ফ্রান্সের আক্ষেপও এখনো কাটেনি।
তবে মাঠের খেলার জয়-পরাজয়,
আনন্দ-বেদনা ছাপিয়ে গত কয়েকদিনে অন্য যে বিষয়টি সংবাদের শিরোনাম হয়েছে সেটি হল এমাবাপের সাথে মেসি ও আর্জেন্টিনা দলের বিবাদ।ফাইনালের মাঠেই এমবাপে-মেসির মধ্যেই টুকটাক স্লেজিং এর দৃশ্য ধরা পড়ে।সেই উত্তেজনা আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ আরও কয়েকগুন বাড়িয়ে দেন। ফাইনাল ম্যাচে মাঠের মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ের পর ড্রেসিং রুমে ফিরে তিনি সতীর্থদের নিয়ে এমবাপের জন্য এক মিনিট 'নীরবতা' পালন করেন।এরপর দেশে ফিরে ট্রফি নিয়ে উদযাপনের সময় তিনি এমবাপের বিদ্রুপাত্মক এক ছবি সাথে নিয়ে মার্টিনেজ ফরাসি তারকার বিপক্ষে ট্রল অব্যহত রাখেন।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়,কোলে এক শিশু পুতুল নিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। তাঁর হাতে থাকা পুতুলের মাথায় লাগানো ছিল এমবাপের মুখের এক ছবি।
এসব প্রকাশ্যে আসার পর ক্ষোভে ফুঁসছে ফ্রান্সের সমর্থকরা। আর্জেন্টিনার পতাকা পুড়িয়ে এবং খাওয়ার রেস্টুরেন্টের সামনে পা পরিষ্কারের জন্য মেসির জার্সি ব্যবহার করে নিজেদের ক্ষোভের জানান দিচ্ছে ফরাসিরা। ফ্রেঞ্চ লীগে পিএসজির হয়ে খেললেও তাকে এক হাতে নিতে দ্বিধা করছেনা ফরাসিরা। তারা বিক্ষোভ প্রদর্শনের মাধ্যমে মেসির পিএসজির জার্সি ছুড়ে ফেলেছেন মাটিতে।
এ ধরনের পরিস্থিতিতে আগুনে ঘি ঢালার মতো আবেদন করে বসলেন লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপ বিরতির পর আগামী ২৮ তারিখ পিএসজির প্রথম ম্যাচে ক্লাবটির ঘরের মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেসে অনুষ্ঠিত। ক্লাবের হয়ে মাঠে যোগ দেওয়ার সময় এই আর্জেন্টাইন মহাতারকা বিশ্বকাপ ট্রফি সঙ্গে নিয়ে এসে দর্শকদের সামনে প্রদর্শন করার আবেদন করেছেন পিএসজির দর্শকরা যে বিষয়টি ভালোভাবে নিবে না সেটি বুঝতে পারে মেসির এ আবেদনের সাড়া দেয়নি ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
মূলত ফ্রান্সের বিপক্ষেই আর্জেন্টিনা শিরোপা জেতায় এবং মেসিকে এই অনুমতি দিলে এমবাপ্পের প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে-সেটি নিয়ে ভীত পিএসজি।তাই ক্লাবটি কোন ধরনের ঝুঁকি নিতে চাইছে না।