Inqilab Logo

শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্যসেবা ব্রিটেনে সেনা মোতায়েন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০২ এএম

ব্রিটেনজুড়ে অ্যাম্বুলেন্সচালকদের প্রথম দিনের ধর্মঘটে ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্যসেবা। পরিস্থিতি সামাল দিতে অ্যাম্বুলেন্স চালাতে ৬০০ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে ২১ ও ২৮ ডিসেম্বর ধর্মঘটের ডাক দেয় অ্যাম্বুলেন্স কর্মীদের তিন প্রধান ইউনিয়ন। তবে বুধবারের ধর্মঘটে স্কটল্যান্ড এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের অ্যাম্বুলেন্স কর্মীরা যোগ দেননি। প্রথম দিনের বিক্ষোভে অংশ নেন ২৬ হাজার ৬০০ চালক। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা এই মুহূর্তে রোগীদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না। তবে বড় দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে জরুরি বিভাগ খোলা থাকবে। জরুরি প্রয়োজনে ৯৯৯-এ ফোন দিতে বলা হয়েছে। যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকরী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। অ্যাডাম নামে এক ভুক্তভোগী ধর্মঘটকারীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা অনেক পেছনে পড়ে আছেন। এ ধর্মঘট আপনাদের চালিয়ে যাওয়া উচিত নয়। তিনি স্মরণ করেন, যখন তার দুই বছর বয়সি মেয়ে স্যাডিকে শ্বাসকষ্টের জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। মারা যাওয়ার আগে তাকে দুই দিন সার্বক্ষণিক যত্ন দেওয়া হয়েছিল। অ্যাডাম বলেছেন, আমি এখনো স্যাডির আশপাশে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের বিষয়ে আতঙ্কিত। বিবিসি সাংবাদিকরা বুধবার ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসজুড়ে, পরিষেবাগুলোয় অ্যাম্বুলেন্সকর্মীদের ধর্মঘটের প্রভাব খুঁজে বেরিয়েছন। তাদের মধ্যে ইস্ট মিডল্যান্ডসের সংবাদদাতা জো ব্ল্যাক সকালে নর্থহ্যাম্পটন জেনারেল হাসপাতালের বাইরে ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, তিনি জরুরি বিভাগের বাইরে কোনো কার্যকলাপ দেখতে পাননি। কোনো অ্যাম্বুলেন্স আসেনি। ইস্ট মিডল্যান্ডস অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের কর্মীরা, যারা জিএমবি ইউনিয়নের সদস্য। তারা হাসপাতালের আশপাশে মধ্যরাত পর্যন্ত হাঁটাহাঁটি করেছেন। তারা শুধু জরুরি কলে সাড়া দিচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরেই বেতন বৃদ্ধির দাবিতে সরব সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) অ্যাম্বুল্যান্স কর্মীরা। সরকার অ্যাম্বুল্যান্স কর্মীদের বেতন ৪.৭৫ শতাংশ বৃদ্ধিতে রাজি হয়েছে। কর্মীদের দাবি, মূল্যবৃদ্ধির হার হিসাবে রেখে বাড়াতে হবে বেতন। এর আগে ব্রিটেনে ধর্মঘট করেছেন রেল শ্রমিকরা। ধর্মঘট করেছেন নার্সরা। এবার অ্যাম্বুল্যান্স কর্মীরা ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। তাদের সঙ্গে শামিল হতে পারেন প্যারামেডিকেল কর্মী ও পরিচালনা বিভাগের কর্মীরাও। স্বাস্থ্য, পরিবহণের মতো জনপরিষেবার মতো ক্ষেত্রে টানা বেসরকারীকরণ চলেছে ব্রিটেনে। কোভিড-১৯-এর সময় যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ব্রিটেনের স্বাস্থ্য কাঠমোর সঙ্কট আর চেপে রাখা যায়নি। বিবিসি, ডেইলি মেইল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ