Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

নিরাপত্তা পরিষদে প্রথম প্রস্তাব পাস

মিয়ানমারে সহিংসতা ও রোহিঙ্গা সঙ্কট অবসানে

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০২ এএম

মিয়ানমারে সহিংসতার অবসান ঘটিয়ে রোহিঙ্গা সঙ্কটের মূল কারণগুলো চিহ্নিত করে তাদের নিরাপদ, টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবসনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বানে প্রথমবারের মত একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে। বুধবার নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত এ প্রস্তাবে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয়, নিরাপত্তা ও মানবিক সহযোগিতা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করা হয়। মিয়ানমারের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা যে রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ বাসভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবসনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করবে এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে ঝুঁকিতে ফেলবে, সে বিষয়টিও দৃঢ়ভাবে তুলে ধরা হয় প্রস্তাবে। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন জানিয়েছে, নিরাপত্তা পরিষদে এ প্রস্তাবের পেন হোল্ডার (সড়া প্রস্তাব উত্থাপনকারী এবং মূল স্পন্সর) ছিল পরিষদের অন্যতম স্থায়ী সদস্য যুক্তরাজ্য। তিনমাস ধরে আলোচনা শেষে বুধবার ১২-০ ভোটে প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়। ভোটাভুটি পর্বে প্রস্তাবের বিপক্ষে কোনো সদস্য ভোট দেয়নি বা নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী কোনো সদস্য ভেটো দেয়নি । ১৫ সদস্য দেশের মধ্যে চীন, ভারত ও রাশিয়া ভোটদানে বিরত ছিল। রয়টার্স লিখেছে, গত ৭৪ বছরের মধ্যে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে এই প্রথম মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে কোনো প্রস্তাব গৃহীত হল, যেখানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে সহিংসতা বন্ধের দাবি জানানোর পাশাপাশি ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চি সহ সকল রাজবন্দিকে মুক্তি দেওয়ার জন্য সামরিক জান্তার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। মানবিক কারণে এতদিন ধরে এই রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে এলেও বাংলাদেশ শুরু থেকেই এই নিপীড়িত জনগোষ্ঠীকে নিরাপদে, টেকসই ও মর্যাদার সঙ্গে তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফেরত নেওয়ার জন্য জোরালো দাবি জানিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কছে। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ২০১৭ সালের শেষ দিকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয় মিয়ানমারের তৎকালীন সরকার। মিয়ানমার সঙ্কট কীভাবে মোকাবেলা করা হবে, তা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের বিভক্তি দীর্ঘদিনের। মিয়ানমারের ঘনিষ্ঠ মিত্র চীন ও রাশিয়া বরাবরই কঠোর কোনো পদক্ষেপের বিরোধিতা করে এসেছে। তাদের পাশাপাশি ভারতও বুধবার ভোটদানে বিরত থাকে। ভোটাভুটির পর জাতিসংঘে চীনের রাষ্ট্রদূত ঝাং জুন পরিষদকে বলেন, চীনের এখনও এ বিষয়ে উদ্বেগ আছে। এ সঙ্কটের সহজ কোনো সমাধান নেই... শেষ পর্যন্ত সঠিকভাবে এর সমাধান করা যাবে কি না, তা পুরোপুরি মিয়ানমারের উপরই নির্ভর করে। রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ