মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্বের সবচেয়ে ভারী ভবনের তকমা পেয়েছে রোমানিয়ার আইনসভা। যার নাম ‘প্যালেস অব পার্লামেন্ট’। ভবনটির উচ্চতা খুব একটা বেশি নয়। তবে তার ওজন রেকর্ড গড়েছে। আইনসভার ভবনটি রোমানিয়ায় ‘রিপাবলিকস হাউস’, ‘পিপলস হাউস’ বা ‘পিপলস প্যালেস’ নামেও পরিচিত। রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টের একটি পাহাড়ের ওপর রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে ভারী এই ভবন। প্যালেস অব পার্লামেন্টের উচ্চতা ২৭৬ ফুট বা ৮৪ মিটার। তবে ভবনটি বেশ চওড়াও। ওই ভবনের বিস্তৃতি প্রায় ৩ লাখ ৬৫ হাজার বর্গমিটার (৩৯ লাখ ৩০ হাজার বর্গফুট)। এছাড়া মোট ২৫ লাখ ৫০ হাজার বর্গমিটার ঘনত্ব নিয়ে ‘দিয়ালুল স্পিরি’ পাহাড়ের ওপর দণ্ডায়মান প্যালেস অব পার্লামেন্ট। উল্লেখযোগ্য হলো, প্যালেস অব পার্লামেন্টের ওজন। এই সংসদ ভবনের ওজন প্রায় ৪০৯ কোটি ৮৫ লাখ কিলোগ্রাম। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে ভারী ভবন। সবচেয়ে ভারী ভবনের পাশাপাশি আরও একটি রেকর্ডের অধিকারী প্যালেস অব পার্লামেন্ট। এটি বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে দামি প্রশাসনিক ভবন। ২০২০ সালের হিসাব অনুযায়ী, প্যালেস অব পার্লামেন্টের মূল্য প্রায় ৪০০ কোটি ইউরো। প্রতি বছর এই ভবনে শুধু বিদ্যুৎ বাবদ খরচই হয় প্রায় ৬০ লাখ ডলার। কমিউনিস্ট রোমানিয়ার প্রেসিডেন্ট নিকোলেই চসেস্কু প্যালেস অব পার্লামেন্ট তৈরির জন্য উদ্যোগী হয়েছিলেন। ভবনটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯৮৪ সালে। প্রধান স্থপতি অ্যানকা পেত্রেস্কুর তত্ত্বাবধানে ৭০০ স্থাপত্যশিল্পীর ১৩ বছরের চেষ্টায় গড়ে ওঠে প্যালেস অব পার্লামেন্ট। ভবনটির নির্মাণকাজ শেষ হয় ১৯৯৭ সালে। কী আছে বিশ্বের সবচেয়ে ভারী এই ভবনের ভেতরে? মূলত রোমানিয়ার আইনসভার দুটি কক্ষ সিনেট এবং চেম্বার অব ডেপুটির কাজকর্ম এখানে হয়ে থাকে। এ ছাড়াও প্যালেস অব পার্লামেন্টে রয়েছে তিনটি জাদুঘর এবং একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র। পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্যালেস অব পার্লামেন্টে মোট এক হাজার ১০০টি ঘর থাকার কথা। কিন্তু ভবনটির নির্মাণ পুরোপুরি সম্পন্ন নয়। দুটি বড় আকারের বৈঠকের ঘর ছাড়া মাত্র ৪০০টি ঘর রয়েছে। এই প্রশাসনিক ভবনে মাটির নিচে মোট ৮টি তলা রয়েছে। প্রেসিডেন্ট চসেস্কু পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা করেছিলেন। তাই মাটির গভীরে ভবনটি প্রশস্ত করেছিলেন তিনি। এই ভবন তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছে ৩ হাজার ৫০০ ক্রিস্টল, ৪৮০টি ঝাড়বাতি, ১ হাজার ৪০৯টি লাইট এবং আয়না। দরজা এবং জানালা তৈরিতে লেগেছে ৭ লাখ টন ইস্পাত আর ব্রোঞ্জ। এ ছাড়া মার্বেল পাথর এবং কাঠের ব্যবহারও হয়েছে অফুুরন্ত। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।