মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাশিয়ান সেনাবাহিনীকে অবশ্যই ইউক্রেনের সমস্যা থেকে শিক্ষা নিতে হবে এবং তার সমাধান করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একইসঙ্গে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে রুশ সামরিক বাহিনীর যা যা প্রয়োজন তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। -রয়টার্স
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) পুতিন এসব মন্তব্য করেন। বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে দেশের প্রতিরক্ষা প্রধানদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা করেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। তিনি বলেন, সরঞ্জাম ও হার্ডওয়্যারের ক্ষেত্রে সরকার কী পরিমাণ দেবে তার কোনও আর্থিক সীমাবদ্ধতা নেই। তিনি বলেন, ‘আমাদের অর্থায়নের কোনও বিধিনিষেধ নেই। সেনাবাহিনী যা চাচ্ছে, দেশ ও সরকার সবই দিচ্ছে।’
গত সেপ্টেম্বরে ইউক্রেন যুদ্ধে পাঠানোর জন্য আংশিক সেনা সমাবেশের যে আদেশ জারি করা হয়েছিল, তাতে সৃষ্ট সমস্য নিয়েও এদিন কথা বলেন পুতিন। তিনি স্বীকার করেছেন, সেপ্টেম্বরে তিনি যে ৩ লাখ রিজার্ভ সেনা সমাবেশের আদেশ দিয়েছিলেন তা মসৃণভাবে হয়নি। তিনি আরও বলেন, ‘আংশিক সেনা সমাবেশের বিষয়ে কিছু সমস্যা সামনে এসেছিল। এটা সবাই জানে এবং এগুলোর দ্রুত সমাধান করা উচিত।’
রয়টার্স বলছে, পুতিন সামরিক বাহিনীতে অন্যান্য আরও সমস্যার কথাও উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, গঠনমূলক সমালোচনার প্রতি মনোযোগ দেওয়া উচিত। তার ভাষায়, ‘সমালোচনাকে আমলে নেওয়া এবং যথাসময়ে সঠিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানানোসহ আমি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে সকল বেসামরিক উদ্যোগের বিষয়ে মনোযোগী হতে বলেছি।’ সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন বক্তব্যে পুতিন স্বীকার করেছেন, তার সেনাবাহিনী বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। গত মঙ্গলবার তিনি নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বলেন, ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলের পরিস্থিতি - যা রাশিয়া তার নিজস্ব অঞ্চল হিসাবে দাবি করছে - ‘অত্যন্ত জটিল’।
এর আগে গত ৭ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরে ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে পারে। চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। তবে পশ্চিমা সামরিক সহায়তায় পুষ্ট ইউক্রেনের পাল্টা হামলায় রাশিয়া দেশটিতে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। রাশিয়া সর্বশেষ গত ২১ সেপ্টেম্বর প্রকাশ্যে তার ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছিল।
সেসময় রুশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, ইউক্রেনে রাশিয়ার ৫ হাজার ৯৩৭ জন সৈন্য নিহত হয়েছে। এই সংখ্যাটি বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক হিসাবের চেয়ে অনেক কম। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর শীর্ষ জেনারেল গত ৯ নভেম্বর জানিয়েছিলেন, ইউক্রেনে যুদ্ধরত উভয়পক্ষেরই এক লাখেরও বেশি সৈন্য নিহত বা আহত হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। পুতিন অবশ্য বরাবরই বলেছেন, ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করার বিষয়ে তার কোনও অনুশোচনা নেই। তার দাবি, অহংকারী পশ্চিমা শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়ানো ছাড়া রাশিয়ার আর কোনও বিকল্প নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।