Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৫শ রূপি সাহায্য চেয়ে দুদিনে ৫৫ লাখ রূপি পেলেন ভারতের এক নারী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ ডিসেম্বর, ২০২২, ৬:৩৫ পিএম

এক ভারতীয় নারীর ক্ষুধার্ত বাচ্চাদের খাবার কিনে দেয়ার জন্য সাহায্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দেয়ার পর ওই নারীর জন্য লাখ লাখ রূপি সাহায্য পাঠিয়েছে বহু অচেনা মানুষ।

দক্ষিণাঞ্চলীয় কেরালা রাজ্যের ৪৬ বছর বয়সী অধিবাসী সুভদ্রা তার স্বামী মারা যাওয়ার পর অন্ন সংস্থান করতে পারছিলেন না। খাদ্য কেনার জন্য সুভদ্রা তার ছেলের শিক্ষিকার কাছে মোটে ৫শ রূপি সাহায্য চেয়েছিলেন। তার এই দুরবস্থা দেখে ওই শিক্ষিকা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সাহায্য চেয়ে একটি প্রচারণা শুরু করেন। রবিবার নাগাদ ওই পরিবারটি ৫৫ লাখ রূপি সাহায্য পেয়েছে।

গত অগাস্ট মাসে স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই অন্ন সংস্থান করতে হিমশিম খাচ্ছেন সুভদ্রা। তিনি শুধু তার এই নামটুকুই বলেছেন। তিনি কোন চাকরি খুঁজতে পারছিলেন না কারণ তার তিন ছেলের মধ্যে ছোটটি সেরেব্রাল প্যালসিতে আক্রান্ত। তাকে সারাক্ষণ দেখাশোনা করতে হয়। শুক্রবার সুভদ্রা তার মেঝো ছেলের স্কুলের শিক্ষিকা গিরিজা হরিকুমারের কাছে গিয়ে বলেন, ছেলেদের খেতে দেয়ার মত কিছু আর নেই তার ঘরে।

হিন্দি ভাষার শিক্ষিকা মিজ হরিকুমার বিবিসিকে বলেন, তিনি তার ছাত্র অভিষেকের কাছে আগেও জানতে চেয়েছিলেন যে বাবার মৃত্যুর পর তারা কোন সমস্যায় আছে কি না। কিন্তু এই প্রথম অভিষেক বা তার মা সাহায্যের হাত পেতেছে, বিবিসিকে বলেন মিজ হরিকুমার।“আমি তাকে এক হাজার রূপি দেই এবং বলি যে আমি কিছু একটা করব”, বলেন হরিকুমার।

তারপর তিনি তাদের বাড়িতে যান এবং দেখেন তারা হতদরিদ্র অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে।“তাদের রান্নাঘরে সামান্য কিছু খাদ্যশস্য আছে, শিশুদের খাওয়ার মত কিছু নেই”, বলেন মিজ হরিকুমার।“তখন আমি ভাবলাম, সুভদ্রাকে সামান্য কিছু সাহায্য দেয়ার কোন মানে নেই। কারণে এতে তার পরিবারের তেমন কোন উপকার হবে না”।

শুক্রবার সন্ধ্যাবেলায় পরিবারটির অবস্থা জানিয়ে ফেসবুকে একটা পোস্ট লেখেন মিজ হরিকুমার এবং সবার কাছে আহ্বান জানান সম্ভব হলে কিছু সাহায্য সহযোগিতা করতে। ওই পোস্টে সুভদ্রার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বরও উল্লেখ করে দেন মিজ হরিকুমার যাতে সাহায্য সরাসরি সুভদ্রার কাছে গিয়েই পৌঁছায়। সোমবারের মধ্যে পোস্টটি ভাইরাল হয়ে যায়।

এরই মধ্যে সুভদ্রার অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে ৫৫ লাখ রূপি। এই টাকার কিছুটা সুভদ্রাদের অসমাপ্ত বাড়ির কাজ শেষ করতে খরচ হবে যে বাড়িটার কাজ তার স্বামী মৃত্যুর আগে শুরু করে গিয়েছিলেন। বাকিটা ব্যাংকেই জমা থাকবে তাদের খরচ চালানোর জন্য। সাহায্য করার আবেদনটি এখন অবশ্য সরিয়ে নেয়া হয়েছে। সূত্র: বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ