পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের কোনো আশঙ্কা নেই জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মোটেই আতঙ্কিত নই। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমেরিকা যাদের ওপর চাপ দিতে চায় তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে। মনে আছে না, নরেন্দ্র মোদির (ভারতের প্রধানমন্ত্রী) ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলো, আবার উঠিয়ে নিলো।
‘বিস গবেষণা সম্মেলন’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কোনো শঙ্কা নেই জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) অনেক নিষেধাজ্ঞা দেয়। বড়লোকেরা অনেক নিষেধাজ্ঞা দেয়। এগুলো একদিকে আসে, অন্যদিকে চলে যায়। আমরা এগুলো নিয়ে মোটেই আতঙ্কিত নই। তিনি বলেন, আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক খুব ভালো এবং দুই দেশের মধ্যে এ বছর ১৬টি বৈঠক হয়েছে। আমাদের সম্পর্ক ভালো বলেই তারা আমাদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকে। এটি ভালো। আমাদের আতঙ্কের কারণ নেই, আশঙ্কারও কারণ নেই। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নাগকিরদের ভ্রমণ সতর্কতার বিষয়ে তিনি বলেন, এটি তাদের দায়িত্ব। যদি তাদের লোক এখানে আসে এবং আহত হয়, তাহলে দূতাবাসের দায়িত্ব নিতে হয় না। এটি ভুল নয়; নিয়মিত কাজের মধ্যে পড়ে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, বিএনপি যে রাষ্ট্র মেরামতের ২৭ দফা রুপরেখা দিয়েছে, তার ১৪ দফায় গুম, খুন ও মানবাধিকার রক্ষার কথা বলেছে, এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি? জবাবে ড. মোমেন বলেন, ২০০২ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপির শাসনামলে দেশে হত্যা, গুম, খুন হয়েছে। তখন ৬৩ জেলায় একসঙ্গে বোমা হামলা হয়েছে। অপারেশন ক্লিনহার্টের নামে ৫৫ জন মানুষ মারা হয়েছে। একজন রাষ্ট্রদূতের (যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার আনেয়ার চৌধুরী) ওপর বোমা হামলা হয়, তিনি তখন প্রাণে বাঁচলেও অনেকেই মারা যান। সে কারণে বিএনপির মুখে মানবাধিকার একটি ভাঁওতাবাজি। এটা আমাদের কাছে হাসির খোরাক ছাড়া আর কিছু নয়।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই ভালো। তারা বিভিন্ন দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। বড় দেশগুলো এটা করে থাকে। তবে আমরা এ নিয়ে আতঙ্কিত নই। আর আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো বলেই তারা আমাদের নানা সাজেশন দেয়। আপনার সঙ্গে কারো সম্পর্ক ভালো থাকলে, আপনিও সাজেশন দিয়ে থাকেন। এটা খুব ভালো।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আমাদের লোকজন গিয়ে বয়স কমিয়ে পাসপোর্ট করতে চায়। তারা সেখানে গিয়ে বলে তাদের বয়স ১৮ বছরের কম। এটা বললে তারা প্রথমে আশ্রয় পায়। পরে বয়স কমিয়ে পাসপোর্ট চায়। এটা অনৈতিক। আর এটা না দিলে সমালোচনা শুরু করে।
সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা কূটনীতিতে তিনটি বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছি। সেটা হলো অর্থনৈতিক কূটনীতি (ইকোনমি ডিপ্লোম্যাসি), জনকূটনীতি (পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি) এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা। আমরা এই অঞ্চকে শান্তি ও স্থিতিশীলতা চাই। কেননা এটা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। তিনি বলেন, বিআইআইএসএস আমাদের নানা সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আগামী দিনে আরো গবেষণা করবে বলে আমরা আশা করি।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিআইআইএসএসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শেখ পাশা হাবিব উদ্দিন। এতে সভাপতিত্ব করেন বিআইআইএসএস চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।