মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মধ্যযুগের রাজকীয় দুর্গে জীবন কাটাতে চান? কাঠের শিকারের লজে বসে ইচ্ছে রয়েছে বিকেলের চা পানের? মাত্র দুই মিলিয়ন ডলার খরচ করলেই এবার সেই সুযোগে হাতের মুঠোয় চলে আসবে আপনার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা সাড়ে ২০ কোটি টাকারও বেশি। সম্প্রতি একটি প্রাসাদ-দুর্গ বিক্রির জন্য এমনই বিজ্ঞাপন দিয়েছে ইটালির সরকার। শুধু ওই দুর্গই নয়, প্রাসাদ সংলগ্ন একটি গ্রামও বিক্রি করা হবে বলে বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। ইটালির উত্তরাংশের মোডেনা এবং বোলোগনা শহরের মাঝখানে সেরাভালে এলাকায় রয়েছে ওই দুর্গ। ১৮ শতাব্দীর এ দুর্গই বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইটালি সরকার। দুর্গ বিক্রির ক্ষেত্রে ইটালিবাসীদের প্রথম পছন্দ হিসেবে গণ্য করা হবে। তবে বিদেশি কোনো ব্যক্তিও চাইলে কিনতে পারেন ওই দুর্গ। তবে সেক্ষেত্রে বিশেষ কিছু শর্তপূরণ করতে হবে বলে জানিয়েছে ইটালি সরকার।
রোমের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ জানিয়েছে, ১৮ শতকের এ দুর্গের দীর্ঘদিন ধরে কোনো সংস্কার হয়নি। সবুজে মোড়ে পাহাড়ের মাথায় এর অবস্থান। দুর্গের একেবার দরজা থেকেই শুরু হয়ে গেছে পাহাড়ি গ্রাম। যা আঁকা বাঁকা পাহাড়ি রাস্তার দুই ধারে গড়ে উঠেছে। প্রত্নতাত্ত্বিকদের দাবি, এ দুর্গের অধিপতিরাই গ্রাম তৈরি করেছিলেন। এখানকার বাসিন্দারা একটা সময় তাঁদের প্রজা ছিল বলেই মনে হয়। তবে বর্তমানে ওই গ্রামও পরিত্যক্ত। দুর্গের বেশ কিছু অংশ ভেঙে পড়ছে। অথচ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকারের কাছে পর্যাপ্ত অর্থ নেই। সেই কারণেই দুর্গ বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রোমের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ।
কী কী রয়েছে ওই প্রাসাদ-দুর্গে? প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের আধিকারিকদের দাবি, দুর্গের মধ্যে রয়েছে রাজবাড়ি। যার তিনটি স্তর রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে কাঠের শেড দেওয়া শিকারের লজ ও চারতলা টাওয়ার। দুর্গের মধ্যে রাজবাড়ির সামনে ১৪ হাজার বর্গক্ষেত্র জুড়ে রয়েছে ফুলের বাগান। এছাড়াও দুর্গের মধ্যে রয়েছে একটি আঙুর বাগান। ‘ঠিকমতো সংস্কার করতে পারলে পর্যটনের সেরা আকর্ষণ হয়ে উঠবে এ দুর্গ’। দাবি রোমের প্রত্নতাত্ত্বিকদের।
এর পাশাপাশি এ দুর্গের সঙ্গে মহান ফরাসি সম্রাট শার্লাম্যানের ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন ঐতিহাসিকরা। তাঁদের দাবি, অষ্টম শতাব্দীতে একটি সেনা ছাউনিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল এই দুর্গ। কিন্তু পরবর্তীকালে লম্বার্ড উপজাতিরা এ দুর্গ ধ্বংস করে। কিছুদিনের মধ্যেই ফের তা পুনর্নির্মাণ করা হয়। কথিত আছে নবম শতাব্দীতে রোমে যাওয়ার পথে এ দুর্গে ফরাসি সম্রাট শার্লাম্যানকে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। তবে দুর্গ চত্বরে তার পা পড়েছিল কিনা, তা স্পষ্ট করে জানাতে পারেননি ঐতিহাসিকরা। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।