Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভয়াবহতার ৮ বছর : এপিএস পেশোয়ার হামলার ৮ম বার্ষিকী পালন করেছে পাকিস্তান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ ডিসেম্বর, ২০২২, ৯:৪৩ পিএম

যে স্ত্রী তার স্বামীকে হারায় তাকে বিধবা বলা হয়, যে স্বামী তার স্ত্রীকে হারায় তাকে বিপত্নীক বলা হয়। যে সন্তান তার পিতামাতাকে হারায় তাকে এতিম বলা হয়। কিন্তু যে পিতা-মাতা তাদের সন্তানকে হারায় তার জন্য কোন শব্দ নেই! যেজন্য এটি ভয়ঙ্কর। ১৩২ শিশুসহ ১৪৭ জনের প্রাণহাণির ঘটনাকে স্মরণ করতে পেশোয়ারের আর্মি পাবলিক স্কুল হত্যাকাণ্ডের অষ্টম বার্ষিকী পালন করেছে পাকিস্তান। –গালফ নিউজ, ডন, মিডিয়া ইউএন

হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটে ২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর। নিরীহ আত্মাগুলোর রক্তপাত সারা বিশ্বকে নাড়া দিয়েছিল। শহীদদের মধ্যে একজন প্রিন্সিপাল ও ১৬ জন কর্মচারীসহ ১৩২ জন ছাত্র। ৮ বছর পরও শোকাহতদের বেদনা এখনো নাড়া দেয়। হৃদয় বিদারক ঘটনার আবেগঘন প্রভাব থেকে রক্ষা পাননি শহীদের বাবা-মা। তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান গোষ্ঠী এই হামলাটিকে প্রতিশোধ হিসেবে দাবি করেছিল, যা সরকারকে সব সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ক্ষমতার যুদ্ধ ঘোষণা করতে প্ররোচিত করেছিল।

আর্মি পাবলিক স্কুল, এপিএস হামলার পর ২০ দফা জাতীয় কর্মপরিকল্পনা চালু করা হয়। পরে সামরিক আদালত স্থাপিত হয়। এখন হামলায় জড়িত ছয় জঙ্গিরই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। হামলার পরপরই প্রতিষ্ঠিত সামরিক আদালত অন্তত ৩১০ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে এবং তাদের মধ্যে ৫৬ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এপিএসের নিরীহ স্কুলছাত্রদের শহীদ হওয়ার দাগ হৃদয় ও আত্মায থেকে মুছে ফেলা কঠিন। এমন ব্যথা যা সময় নিরাময় করতে পারে না। এমন একটি দিন যা কখনই ভুলতে পারা যায় না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ