পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ময়মনসিংহ আঞ্চলিক অফিস : টাঙ্গাইল বন বিভাগের রসুলপুর জাতীয় উদ্যান সদর রেঞ্জের অরনখোলা মৌজার সংরক্ষিত বনাঞ্চলের (রিজার্ভ ফরেস্ট) প্রায় ৩০ একর জমির গজারি বাগান এক রাতে কেটে নিয়েছে একটি সংঘবদ্ধ কাঠচোর সিন্ডিকেট। বিষয়টি বন বিভাগ থেকে গোপন রেখে বন মামলা দিয়েই দায়সারা কাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩০ নভেম্বর। বিলম্বে খবর পেয়ে সরেজমিনে গিয়ে ধ্বংস চিত্রের নমুনা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছে অনেকেই।
জানা যায়, টাঙ্গাইল বন বিভাগের জাতীয় উদ্যানে সদর রেঞ্জ অরনখোলা মৌজাটি ময়মনসিংহ বন বিভাগের রসুলপুর রেঞ্জের সদর বিট সংলগ্ন অবস্থিত। বিশেষ করে ময়মনসিংহ বন বিভাগ ঘেষে অবস্থিত হওয়ায় বনাঞ্চলের সিএফডবিøউ ও সামাজিক বনায়নের সিংহভাগ উপকারভোগী ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছার চানপুর, বিজয়পুর, রসুলপুরসহ সীমানা ঘেষে বিভিন্ন এলাকার সাধারণ গরিব মানুষ এবং অধিকাংশই বন মামলায় কোনো না কোনোভাবে আসামি হয়েছেন। সূত্র মতে, ২০১০Ñ১২ কমিউনিটি ফরেস্ট ওয়ার্কার (সিএফডবিøউ) প্রকল্পের মাধ্যমে টাঙ্গাইল বন বিভাগ ৪ টি রেঞ্জের ৭০০ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়ে বন রক্ষার কাজ দেয়। পরবর্তীতে প্রকল্পের মেয়াদ আরো দু’ বছর বৃদ্ধি করে। প্রকল্প শেষ হওয়ার পর পুনরায় নতুন প্রকল্প গ্রহণ প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত। এ নিয়ে বন রক্ষার কাজে নতুন করে সিএফডবিøউ’দের নিয়ে মিটিং চলাকালীন অবস্থায় পুলিশ হানা দিলে সভা পÐু হয়ে যায়। এতে সিএফডবিøউ’রা পালিয়ে যায়। সিএফডবিøউদের ধারণা বন বিভাগের লোকজন ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিটিং-এর কথা বলে ডেকে এনে ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। এ ব্যাপারে বন বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে পুলিশের বিষয়টি তাদের জানা নেই। বন ঘেষা এলাকা ময়মনসিংহ বনভূমি সংলগ্ন চানপুর, বিজয়পুর, হরিণাতলা এলাকার সংঘবদ্ধ একটি কাঠচোর সিন্ডিকেট এই ধ্বংসযজ্ঞ চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে জাতীয় উদ্যান সদর বিট কর্মকর্তা মো: এরশাদ হোসেন এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, মিটিং চলাকালীন পুলিশ হানা দেয় এতে সভায় অংশগ্রহণকারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে এ কাজ করতে পারে।
এ ঘটনার পর সিএফডবিøউরা ক্ষিপ্ত হয়ে একটি একটি প্রভাশালী মহলের যোগসাজশে রসুলপুরের আইয়ুব আলী, ৫০ বন মামলার আসাফম হরিণাতলার আবুল হোসেন, রসুলপুরের জহির উদ্দিন, আব্দুল আজিজ, চানপুরের সেকান্দার, হাবুল, বাবুল, হালিম, কদ্দুস, হযরত আলী এদের নেতৃত্বে কয়েক’শ লোক অরনখোলা রিজার্ভ ফরেস্টে প্রবেশ করে এ ধ্বংসযজ্ঞ চালায় বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছে। এ ব্যাপারে বনবিভাগের অরনখোলা সদর বিট কর্মকর্তা জানান এ ঘটনায় পর্যন্ত ৪টি মামলা হয়েছে আসামির সংখ্যা শতাধিক। বন বিভাগ থেকে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।