মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের উত্তরপ্রদেশের এই তোতাকাহিনি বলিউডের গল্প-উপন্যাসকেও হার মানায়। ঝামেলার সূত্রপাত একটি আফ্রিকান প্যারটকে নিয়ে। দুই মালিক হাজির হন স্থানীয় থানায়। পুলিশের কাছে উভয়ের দাবি, পাখিটি তাদের। থানায় উপস্থিত পুলিশকর্তারা ধন্দে পড়েন। কীভাবে সমস্যার সমাধান করবেন বুঝতে পারছিলেন না। শেষ পর্যন্ত পাখিই বাতলে দেয় তার প্রকৃত মালিক কে। যোগীরাজ্যের তোতাকাহিনির কথা জেনে সকলেই অবাক।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের আগ্রার। আফ্রিকান প্যারটের দুই দাবিদার হলেন অজয়কুমার বর্মা ও মুনেন্দ্র জৈন। পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৮ সালে অজয়কে একটি আফ্রিকান প্যারট উপহার দেন মুনেন্দ্র। অজয়ের দাবি, গত চার বছর ধরে তার বাড়িতে যত্নে রয়েছে পাখিটি। পাখির দেখভাল করে মেয়ে মুনমুন। অজয় আরও জানান, মুনেন্দ্র পাখিটির দেখভাল করতে পারছিল না বলেই তাকে দিয়েছিল। গত কয়েক বছরে যেটি তাদের পরিবারের একজন হয়ে উঠেছে। কিন্তু সম্প্রতি মুনেন্দ্র দাবি করে, তোতাপাখি তাকে ফিরিয়ে দিতে হবে।
চার বছর লালন পালনের পর আচমকা এই দাবি মানতে চাননি অজয় ও তার পরিবারের সদস্যরা। এই অবস্থায় পুলিশে কাছে অভিযোগ করেন মুনেন্দ্র। যার পর পাখিটিকে ফেরত দেয়ার জন্য অজয়কুমারকে বেশ কয়েক বার নোটিস পাঠায়েছিল পুলিশ। শেষ পর্যন্ত থানায় হাজির হয় দুই পক্ষ। আনা হয় পাখিটিকে। পুলিশের সামনেই তুমুল বিবাদে জড়ান অজয় এবং মুনেন্দ্র। পাখির প্রকৃত মালিক কে, তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না পুলিশকর্মীরা। তখনই সমস্যার সমাধান করে খোদ তোতা।
কার্যত বাকি কাহিনি সে নিজে লেখে। মালিকানা নিয়ে বিবাদের মধ্যে কথা বলে ওঠে। হঠাৎই তোতাপাখিটি ডেকে ওঠে, ‘মুনমুন তুই কোথায়, মুনমুন তুই কোথায়’। এরপর পুলিশ কর্তাদের বিষয়টা বুঝতে বাকি থাকে না। অজয় যে মিথ্যে বলছিলেন না, মুনমুনই যে পাখির দেখভাল করে থাকে, তা স্পষ্ট হয় পুলিশের কাছে। সেই মতোই প্রকৃত মালিকের হাতে তুলে দেয়া হয় পাখিটিকে। সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।