রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) থেকে টিএম কামাল : সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার চরের মাটিতে যে সোনা ফলানো যায়, তা-ই করে দেখালেন সেখানকার কৃষকরা। চরের যে মাটি একসময় নিতান্ত অবহেলায় পড়ে থাকতে, এখন সেখানে হচ্ছে মরিচ চাষ। যমুনা নদী বিচ্ছিন্ন নাটুয়ারপাড়া বালু চরের ছয় একর জমিতে মরিচ চাষ করেছেন আব্দুর রহমান। তার দেখাদেখি অনেক কৃষকই চরের জমিতে ফসল চাষের দুঃসাহস দেখিয়েছেন। আব্দুর রহমানের মতো সবার জমিতেই মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজার দর ভালো থাকায় তারা এবার মরিচ চাষে লাভের স্বপ্ন দেখছেন। নাটুয়ারপাড়া গ্রামটি একসময়ে জনবসতিতে ঠাসা ছিল। কিন্তু যমুনা নদীর ক্রমাগত ভাঙনে সেই জনবহুল গ্রাম এখন আর নেই। সেখানে জেগে উঠেছে বিশাল চর। বেশ কয়েক বছর এ চর ছিল আবাদহীন। বালুচরেই ফসল আবাদ করবেন- এমন প্রত্যয় গ্রহণ করেন রহমানসহ কিছু কৃষক। অক্লান্ত পরিশ্রম শেষে এখন তাদের চাষকৃত জমিতে মরিচ ধরেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, চরের জমির গাছে গাছে মরিচ ধরেছে। অনেকে এরই মধ্যে প্রথমবার মরিচ তুলেছেন। প্রমথবারের তোলায় আব্দুর রহমান বিক্রি করেছেন প্রায় ১ লাখ টাকার মরিচ। কেউ করেছেন ৫০ হাজার টাকার, কেউ ৬০ হাজার টাকার। প্রতিটি গাছ থেকে অন্তত চার-পাঁচবার মরিচ উঠানো যাবে। প্রতি কেজি মরিচ পাইকারি দরে ৫০ টাকা করে বিক্রি করা যাচ্ছে। যদি কোনো দুর্যোগ না হয়, তাহলে মরিচ বিক্রি করে ভালো লাভের আশা করছেন চরের কৃষকরা। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মরিচ বোনার পর সময়মতো সার, সেচ দেয়া আর একটু পরিশ্রম করলে চরের বালু জমিতেই ভালো ফলন হয়। রহমানের ৬ একর জমিতে মরিচ চাষে সাকুল্যে খরচ হয়েছে সাড়ে চার লাখ টাকা। অন্তত পাঁচবার মরিচ তোলার পর খরচ বাদ দিয়ে তার দ্বিগুণেরও বেশি লাভ হবে বলে তিনি জানান। চরের জমিতে যারা এবার মরিচ চাষ করেননি, তারা ফলন দেখে অবাকই হয়েছেন। মাজনাবাড়ী গ্রামের কৃষক আলী সরকার জানান, বালু মাটিতে যে এত সুন্দর মরিচ হয়, তা তিনি আগে জানতেনই না। এখন থেকে তিনি নিয়মিত চরের জমিতে ফসল আবাদ করবেন বলে জানান। কাজিপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কল্যাণ প্রসাদ পাল জানান, শুধু মরিচ না, চরের জমিতে সব রকম সবজি চাষও লাভজনক। এ জন্য কৃষকের উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হয় এবং কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে প্রযুক্তিগত সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়। এবার চলতি মৌসুমে ১৪শ’ ১০ হেক্টার জমিতে ৯ হাজার ৮১৫ জন কৃষক মরিচের আবাদ করেছেন। মোট ২ হাজার ৩শ’ ৯৭ মেঃটন মরিচ উৎপাদন হবে। প্রতি হেক্টারে ১.৬ মেঃটন মরিচ উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।