করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বেইজিংয়ে বাড়ি বেচা-কেনা কোভিডের আগের পর্যায়ে ফিরতে আরও কিছু সময় লাগতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বেইজিংয়ে মেরি লিউ নামে এক ‘প্রোপার্টি এজেন্ট’ সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে বলেছেন, কোভিড পরিস্থিতির কারণে এখন তাদের ক্লায়েন্টরা বাড়ি খুঁজে দেখতে চান না। সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে সম্ভাব্য ক্রেতারা বাড়ি খোঁজা বন্ধ করে দিচ্ছেন।
সংবাদ মাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, বেইজিংয়ে যারা বাড়ি খুঁজছিলেন এমন কয়েকজনের সঙ্গে এই মাসে সাক্ষাত করছেন লিউসহ অন্য এজেন্টরা। এসব ক্রেতারা তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে আগের যেখানে ছিলেন আপাতত সেখানেই থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
গত ৭ ডিসেম্বর কোভিড সংক্রমণ প্রতিরোধের কঠোর শূন্য কোভিড নীতি শিথিল করেছেন চীন সরকার। আর এরপরই ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট। হঠাৎ করে সবকিছু পুনরায় খোলার জন্য অনেকেই অপ্রস্তুত ছিলেন। রাজধানীর রাস্তাঘাট ও অফিস ফাঁকা থাকলেও হাসপাতালগুলো রোগীতে ঠাসা।
বেইজিংয়ের এক শিক্ষিকা রেনি ওয়াং তাদের তাদের দ্বিতীয় বাড়ি কেনার জন্য বাড়ি খুঁজে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু হঠাৎ কোভিড -১৯ প্রাদুর্ভাবের কারণে তাদের সেই কাজটি কঠিন হয়ে উঠেছে।
বেইজিংয়ে প্রত্যেক পরিবার কেবল দুটি বাড়ির মালিক হতে পারে। কাছাকাছি স্কুল বা স্কুল সংলগ্ন আরেকটি বাড়ি পেতে সেখানকার বাসিন্দারা যথাসাধ্য চেষ্টা করেন। কারণ শিশুদের জন্য স্কুলগুলোতে আবেদনের যোগ্য হওয়ার একমাত্র উপায় এটি।
বেইজিংয়ে দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে বলে মনে করা হয়। হাইদিয়ান এবং শুনি ডিস্ট্রিক্টে অনেক স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের স্বনামধন্য স্কুল রয়েছে।
রেনি ওয়াং বলেন, “কোভিড -১৯ থাকুক বা না থাকুক, আমার এখনও বাসা প্রয়োজন। বর্তমান প্রাদুর্ভাবের কারণে বাড়ি পছন্দের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের কাছে খুব কম সময় রয়েছে। বাড়ি বিক্রেতা কোয়ারেন্টিনে থাকতে পারেন এবং বিকল্পগুলো দেখার ক্ষেত্রেও আমার কাছে সীমিত সময় রয়েছে।”