নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
অঘটন, চমক আর উত্তেজনার বিচারে কাতার বিশ্বকাপ আগেই ছাড়িয়ে গিয়েছিল অতীতের অনেক আসরকে। রোমাঞ্চে ভরপুর ফুটবলীয় মহাযজ্ঞের শেষটা হলো আরও দারুণ, ফাইনালের দুই দলকে আলাদা করতে প্রয়োজন পড়ল টাইব্রেকারের। শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনাল শেষে জিতল লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। তবে এই জয়ে মিশে থাকল রোফারি বিতর্ক!
গতপরশু কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে পেনাল্টি শুটআউটে ফ্রান্সকে ৪-২ গোলে হারায় আর্জেন্টিনা। এর আগে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় মিলিয়ে ১২০ মিনিটেও জয় ছিনিয়ে আনতে পারেনি কোনো দল। প্রথমার্ধেই লিওনেল মেসি ও অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার গোলে এগিয়ে যায় আলবিসেলেস্তেরা। ম্যাচের শেষভাগে এসে খেলার চিত্র বদলে দেন কিলিয়ান এমবাপে, এক মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল করে লড়াইয়ে ফেরান ফ্রান্সকে। নাটকের তখনও বাকি। অতিরিক্ত সময়ে মেসির গোলে ফের এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা, শেষ বাঁশি বাজার মিনিট দুয়েক আগে পেনাল্টি পেয়ে আবারও সমতা টানেন এমবাপে।
এমবাপের জোড়া গোলের দুই পেনাল্টি নিয়েই উঠেছে বিতর্ক। এই বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন ফাইনালের রেফারি সায়মন মার্সিনিয়াক। কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচে বাজে রেফারিং নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা মেসিও। বলেছিলেন, ‘এমন রেফারি যেন ফিফা না রাখে’। ফাইনালে তাই ‘ভালো’ একজন রেফারিও নিয়োগ দিয়েছিল ফিফা। পোল্যান্ডের সাবেক ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার মার্সিনিয়াক রেফারি হিসেবে ভালোই। তবে গতপরশুর ফ্রান্সের পক্ষে দেয়া দুটি পেনাল্টিই ছিল বিতর্কিত। তার এই আচরণ অনেকেই ফিরে তাকাচ্ছেন ১৯৯০ সালের ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে জার্মানিকে দেয়া একটি পেনাল্টির কথা। যেখানে খলনায়কের ভূমিকায় ছিলেন রেফারি কোদে সালে। সেই একই ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চলেছিলেন মার্সিনিয়াকও!
মেসি-ডি মারিয়ার গোলে ম্যাচে তখন ২-০ তে এগিয়ে আর্জেন্টিনা। সময়েও শেষের টান। ঘড়িতে তখন ম্যাচের ৭৯তম মিনিট চলছে। প্রতিআক্রমণের এক পর্যায়ে আর্জেন্টাইন ডি বক্সের মধ্যে বল নিয়ে ছুট দিয়েছিলেন কোলো মুয়ানি। তাকে ঠেকাতে বাধ সাধছিলেন নিকোলাস ওতামেন্দি। তাতে হাতে টান লেগে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মুয়ানি। ফাউলের বাঁশি বাজান রেফারি। সেখান থেকে সফল স্পটকিকে ব্যবধান কমান এমবাপে। পরেরটি তো এবারের কাতার বিশ্বকাপের সবচাইতে বড় কলঙ্ক হয়ে থাকবে। ১১৫তম মিনিটে এবারও ৩-২ ব্য্যবধানে এগিয়ে আর্জেন্টিনা। কর্ণার থেকে পাওয়া বলে আর্জেন্টাইন ডি বক্সের বাইরে থেকে জোরালে শট নিয়েছিলেন কোমান। ব্লক করতে লাফিয়ে ওঠেন মন্তিয়েল। কিন্তু অনিচ্ছাকৃতভাবে বল লেগে যায় তার হাতের কনইয়েরও নিচে। তার চাইতেও বড় কথা, রিপ্লেতে স্পষ্ট দেখা গেছে বলের আঘাত থেকে মুখ বাঁচাতে পেছন ঘুরে লাফ দিয়েছিলেন মন্তিয়েল। তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। বক্সের ভিতর এই ঘটনা ঘটায় পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সেখান থেকে আরও একটি সফল স্পটকিকে সমতায় ফেরার এমবাপে। দুটি পেনাল্টিই এমন সময় দিয়েছেন যখন ম্যাচে আর্জেন্টিনার জয়ের সম্ভাবনা জোরালো ছিল। এতেই রোফারির পক্ষাপাতমূলক আচরণ বাঁকা চোখে দেখছেন ফুটবলবোদ্ধারা।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য কোনো অঘটন না ঘটিয়েই টাইব্রেকারে গিয়ে কাক্সিক্ষত জয়ের দেখা পায় আলবিসেলেস্তেরা। লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা আর্জেন্টিনাকে এনে দেন পরম অরাধ্য বিশ্বকাপ ট্রফি। অমরত্বের জয়গান গেয়ে মহাতারকা মেসি ঘুচান তাদের ৩৬ বছরের শিরোপার আক্ষেপ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।