পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পৃথিবীর কোনো দেশ অর্থনীতিতে ভাল করলে তাদের দাবাইয়া রাখা পশ্চিমাদের নতুন না হিস্টরিক্যাল মজ্জাগত অভ্যাস বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেছেন, তারা (পশ্চিমা দেশ) কোথায় যদি কোন নির্বাচন হতে দেখে এবং সেই দেশ যদি দরিদ্র হয় বা উন্নয়নশীল দেশ হয় তখন সেখানে তারা নানা অবজারভেশন দেয়। গতকাল সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিএনপি সরকারের আমল ছাড়া বাংলাদেশে বিদেশেী কোন রাষ্ট্রদূতের ওপর সরাসরি হামলার ঘটনা ঘটেনি। ২০০৪ সালে বৃটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর সিলেটে বোমা হামলার ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছিল। মায়ের কান্না’র মতো এভাবে স্মারকলিপি দেয়াকে উৎসাহিত করি না।
ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, রাষ্ট্রদূতকে রাস্তা-ঘাটে ধরে স্মারকলিপি দেয়ার কোনো কালচার বাংলাদেশে নেই। মায়ের কান্না নামের সংগঠন কেন মার্কিন দূতাবাসে যোগাযোগ না করে স্মারকলিপি দিতে গেল? তা তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করুন। সরকার এমনটি উৎসাহিত করছে কিনা? জানতে চাইলে মন্ত্রীর সাফ জবাব, না আমরা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণে বিশ্বাস করি। এভাবে স্মারকলিপি দেয়ার চেষ্টাকে আমরা উৎসাহিত করি না।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ১৪ ডিসেম্বর শাহীনবাগের যে বাড়িতে গিয়েছিলেন তার দরজা পর্যন্ত মায়ের কান্না নামের একটি সংগঠনের লোকজনকে অ্যালাও করা হলো কেন? এমন সম্পূরক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, আমরা তো জানতাম না উনি ওখানে গেছেন।
শাহীনবাগের ঘটনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির আশঙ্কা নাকচ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা ছোটোখাটো ঘটনা, তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের ব্যাপ্তি অনেক বিস্তৃত এবং গভীর। কূটনীতিকদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী মোমেন ২০০৪ সালে বৃটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর সিলেটে বোমা হামলার ন্যাক্কারজনক ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, বিএনপি সরকারের আমল ছাড়া বাংলাদেশে কোন রাষ্ট্রদূতের ওপর সরাসরি হামলার ঘটনা ঘটেনি। এ সময় অপর প্রশ্নে তিনি পশ্চিমাদের ওপর ক্ষোভ ঝাঁড়েন। সরকারের বিরুদ্ধে একটা সফট ক্যাম্পেইন চলছে কি-না? এমন প্রশ্নে মন্ত্রী মোমেন বলেন, এটা পারসেপশনের ওপর নির্ভর করে। আসলে এটা পশ্চিমাদের মজ্জাগত। তারা কোথায় যদি কোন নির্বাচন হতে দেখে এবং সেই দেশ যদি দরিদ্র হয় বা উন্নয়নশীল দেশ হয় তখন সেখানে তারা নানা অবজারভেশন দেয়। তিনি বলেন, প্রথমত অনেকের অবিশ্বাস করে বাংলাদেশ এত ভালো করল কেমনে? ভালো করছে সুতরাং ওদের দাবাইয়া রাখো। দাবাইয়া রাখতে হলে ওখানে কিছু সদস্যা তৈরি করতে হবে, অস্থিরতা সৃষ্টি করতে। যে দেশে অস্থিরতা হয়েছে, সে দেশ ধ্বংস হয়ে গেছে। আপনি লিবিয়ার দিকে থাকান। তারা অনেক ভালো ছিল, তারা ঋণ নিতো না। অস্থিরতায় সব শেষ হয়ে যায়। এরা অনেকে দেখতেছে, বাংলাদেশ ভালো করছে, তাই এদের আটকাও। এটা মজ্জাগত সমস্যা। এটাতো নতুন না হিস্টরিক্যাল।
এটা কারা করে? জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, যারা শক্তিশালী বুদ্ধিমান দেশ তারা করে। আর এর সঙ্গে কিছু কিছু দেশীয় লোক একসঙ্গে যোগ দেয়। যোগ দিয়ে তারা পায়ে কুড়াল মারে। তাদের কিছু লক্ষ্য থাকে। আরেকটা হচ্ছে তাদের নিজেদের ধ্যান-ধারণা আছে। সে ধ্যাণ-ধারণা মনে করে অন্য দেশও ফলো করবে।
এর আগে পিটার হাসের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।