চীনে হঠাৎ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশটিতে বেশিরভাগ সেবা কার্যক্রম সীমিত করেছে মার্কিন দূতাবাসসমূহ। বেইজিংয়ে মার্কিন দূতাবাস এবং সাংহাইয়ের কনস্যুলেট তাদের পরিষেবা পাসপোর্ট ও জরুরি কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ করেছে।
চীনে মার্কিন মিশন গত বৃহস্পতিবার উইচ্যাট অ্যাকাউন্টে এক ঘোষণায় বলেছে- গুয়াংজু, শেনিয়াং ও উহানের কনস্যুলেটসমূহ পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি না দেওয়া পর্যন্ত কেবল জরুরি সেবা সরবহার করবে। চীন জুড়ে কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধিতে দূতাবাসের কার্যক্রমে প্রভাব পড়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, পূর্ব নির্ধারিত কিছু ভিসা শিডিউল ছাড়া সাংহাইয়ে ভিসা সেবা স্থগিত করা হয়েছে। সব জায়গায় নিয়মিত ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাতিল করা হয়েছে। আবেদনকারীদের অবশ্যই তাদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট পুনঃনির্ধারণ করতে হবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কঠোর শূন্য-কোভিড নীতি থেকে গত সপ্তাহে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিল চীন। এরপর
লকডাউন প্রত্যাহার করা হয়েছে, কোভিড পরীক্ষার বুথগুলো সরানো হয়েছে। জনসমাগমপূর্ণ জায়গাগুলো আবার খুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এরপরই হঠাৎ দেশটিতে ব্যাপকভাবে সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে।
বেইজিং ও সাংহাইয়ের মতো প্রধান শহরগুলোতে ভয়াবহভাবে সংক্রমণ বেড়েছে। অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা অসুস্থতার কারণে ছুটিতে যাওয়া কর্মী সংকট তৈরি হয়েছে। তবে বাধ্যতামূলক গণপরীক্ষা স্থগিত করায়
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সঠিক সংখ্যা জানা যাচ্ছে না।
করোনাভাইরাসের উপসর্গ কিংবা মৃদু উপসর্গ রয়েছে এমন ব্যক্তিদের বাড়িতেই কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট কিট ও ওষুধের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে।
গত মার্চ মাসে চীনের ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম হারের ওপর ভিত্তি করে ফুদান ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীদের অনুমান ছিল, কোভিড -১৯ বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হলে চীনে ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ১০ লাখ ৬০ হাজার মৃত্যুর কারণ হবে।’
ব্রিটিশ স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিশ্লেষণ সংস্থা এয়ারফিনিটির অনুমান, বয়স্কদের মধ্যে বুস্টার ডোজসহ ও কম টিকাদানের কারণে ২০ লাখেরও বেশি মানুষের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশন (আইএইচএমই) বলছে, চীনে ৮০ বা তার বেশি বয়সী জনসমষ্টির বড় সংখ্যায় মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে।