নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাকি নেই আর এক বছরও, এর মধ্যে হঠাৎ বেড়ে গেল বিশ্বকাপের আয়োজক ভারতবের দুশ্চিন্তা। আসরটিই সরিয়ে নেওয়া হতে পারে ভারত থেকে! আইসিসির সাথে ভারতীয় বোর্ডের দ্বন্দ্ব ক্রমশ বাড়ছে বলে আইসিসি অন্য কোনো দেশকে দিতে পারে বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব। সরকার অনড় অবস্থানে থাকায় অনেকটা নিরুপায় হয়ে পড়েছে বিসিসিআই, তাই বিশ্বকাপ থেকে কাড়ি কাড়ি টাকা আয়ের সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে চোখে দেখছে অন্ধকার।
বিশ্বকাপের মতো আসর আয়োজন করলে ভারত সরকারকে মোটা অঙ্কের কর দিতে হয়। আইসিসি সেই কর দিতে নারাজ। সংস্থাটি সাফ জানিয়ে দিয়েছে কর দিতে হলে তা ভারতের তথা বিসিসিআইয়ের লভ্যাংশ থেকে কেটে রাখা হবে। তবে বিসিসিআই আবার এই বিষয়টি মানতেই পারছে না। বিসিসিআই নিজেদের লাভের অংশ থেকে করের টাকা পরিশোধে নারাজ।
তবে বিসিসিআইয়ের এই হুংকার সত্ত্বেও আইসিসির টনক নড়েনি। সংস্থাটি নতুন কোনো ভেন্যুকে বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে বেছে নিতে পারে, এমন দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের। বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন বিসিসিআই বেশ দর কষাকষির চেষ্টা করলেও সরকারের মন গলার কোনো সুযোগ নেই। বিসিসিআইয়ের ঐ কর্মকর্তা বলেন, ‘আইসিসি এবং বিসিসিআইয়ের মধ্যে এই কর ছাড় নিয়ে আইনি লড়াইও হতে পারে। যে নাগরিকরা কর দেন তাদের সরকার কী বলবে যে খেলা এত টাকা নিয়ে আসে, সেই খেলার জন্যই কর ছাড় চাওয়া কি সম্ভব? এটা হতে পারে? সরকার এই সম্পর্কে অবস্থান পরিবর্তন করার কোনো সম্ভাবনা নেই।’
করের নিয়ম অনুযায়ী, বিশ্বকাপ আয়োজন করলে ভারত সরকারকে ৯০০ কোটি রুপি কর দিতে হবে আইসিসিকে। আইসিসি এই কর মওকুফের দায়িত্ব দিয়েছিল বিসিসিআইকে তারা যেন সরকারের সাথে আলোচনা করে কর মওকুফের নিশ্চয়তা দেয়। সেই নিশ্চয়তা না পাওয়ার কারণেই বিসিসিআইকে বিশ্বকাপের আয়োজন স্বত্ব কেড়ে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। শেষপর্যন্ত যদি বিসিসিআই আইসিসি ও সরকার উভয় পক্ষের দাবি মেনে নেয়, তাহকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের লোকসান। সেক্ষেত্রে সরকারকে কর দিতে হলে তা কাটা হবে ভারতীয় বোর্ডের লাভের অংশ থেকে।
কর মওকুফ নিয়ে বিসিসিআইয়ের সাথে আইসিসির দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। এর আগে ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় অফিসিয়াল ব্রডকাস্টার স্টার ইন্ডিয়াকে ১০.৯২ শতাংশ লভ্যাংশ কর দিতে হয়েছিল। সে সময় বাধ্য হয়ে আইসিসি বিসিসিআইয়ের মুনাফা থেকে ২৩.৫ মিলিয়ন ডলার কেটে রেখেছিল। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকে আইসিসি আয় করবে ৫৩৩ মিলিয়ন ইউএস ডলারেরও বেশি। তবে সরকারকে কর দিতে হবে ২১.৫৪ শতাংশ, যা লভ্যাংশের ১১৬.৪৭ মিলিয়ন ইউএস ডলারের সমান। করের হার ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার জন্য বিসিসিআই অবশ্য চেষ্টার কমতি রাখছে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।