Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে দায়িত্ব আছে বিশ্ব মোড়লদের

সিলেটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৯ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:৫৪ এএম

রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে এ দায়িত্ব শুধু বাংলাদেশের একার নয়, বরং বিশ্বের মোড়ল হিসেবে পরিচিত দেশগুলোরও আছে দায়িত্ব। গতকাল সকালে সিলেট নগরীর ধোপাদিঘিরপাড়স্থ হাফিজ কমপ্লেক্সে আল খায়ের ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিতদের মধ্যে হুইল চেয়ার ও সেলাই মেশিন বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা কদিন পরপর আসে আমাদের দেশে। সত্তর দশকে, আশির দশকে, নব্বইয়ের দশকে এসেছিল। পরবর্তীতে মিয়ানমার সরকার নিয়েও গেছে তাদের আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে। এবারে সংখ্যাটা অনেক বেশি। একেবারে এগারো লাখ। তারা কিন্তু কখনোই বলে নাই এদেরকে নেবে না। আমরা তাদের বলেছি, তোমরা নিয়ে যাও। তারা বলছে, নেব। আমরা বলেছি, এদের নিয়ে তোমরা নিরাপত্তা দেবে। তারা বলছে, দেবে। আমরা বলেছি, তোমাদের দেশে এরা যাতে স্বেচ্ছায় যেতে চায়, যেতে পারে, সেই ব্যবস্থা করো। বলেছে, করবো। সবকিছুতেই রাজি। কিন্তু এখন পর্যন্ত, পাঁচ বছর পার হয়েছে, একটি লোকও নেয়নি। একটা রোহিঙ্গাও ফেরত যায়নি। মিয়ানমারের আন্তরিকতার অভাব। তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি বিভিন্নভাবে চেষ্টা চলছে, দ্বিপাক্ষিক, ত্রিপাক্ষিক, বহুপাক্ষিক, এমনকি আমরা কোর্টেও গিয়েছি।

এছাড়া ড. মোমেন বলেন, আমরা বিশ্ব মোড়লদের বলেছি, আপনারা একটা কাজ করেন, রাখাইনে যেখানে রোহিঙ্গারা ছিল সেখানে আপনারা নিরাপদ জোন তৈরি করুন। আপানারা চাইলে পারবেন। কিন্তু ওনারা মুখে বলে, কিন্তু আন্তরিকতার কিছুটা ঘাটতি আছে। তবে আমি সবসময় আশাবাদী, তারা তাদের দেশে ফেরত যাবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, আমরা নতুন একটি প্রজেক্ট নিয়েছি। সব যদি নাও যেতে পারে, কিছু লোককে তারা অন্য দেশে পাঠাবো। আমাদের দেশ ঘনবসিতপূর্ণ, প্রতি বর্গ মাইলে প্রায় ২৯শ লোক থাকে। আর আমেরিকায় মাত্র ৪০ জন থাকে। ইউরোপে মাত্র ১৫ থেকে ২৫ জন লোক থাকে। ওদের দেশটা অনেক বড়। পৃথিবীটা আল্লাহর তৈরি, সব মানুষের অধিকার আছে বাঁচার। তাই আমরা তাদের বলেছি, আপনারা কিছু লোক নিয়ে যান। কিছু নেওয়া শুরু হয়েছে। তবে এগুলো সমুদ্রের মধ্যে বিন্দুর মতো। অপরদিকে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা মিয়ানমার শুরু করেছে, এর সমাধানও সবচেয়ে বেশি নির্ভরশীল তাদের ওপর।

মন্ত্রী সমালোচকদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য প্রতি বছর মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ হচ্ছে। বন্ধু রাষ্ট্রগুলোও সাহায্য করছে, তবে সবচেয়ে বেশি করছে বাংলাদেশ। তারপরও কিছু লোক সমালোচনা করে। তাদের নিজেদের কিছু করার মুরোদ নাই, কিন্তু খুত বের করায় ওস্তাদ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ প্রমূখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ