Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

মেট্রোরেলে প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:৫৪ এএম

বাংলাদেশে চালু হতে যাচ্ছে স্বপ্নের মেট্রোরেল। নগরবাসীর ভোগান্তি কমাবে, সময় বাঁচাবে যাতায়াতে। ২৮ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু হচ্ছে মেট্টোরেলের। সাধারণ যাত্রীরা মেট্রোরেলে উঠতে পারবেন পরের দিন ২৯ ডিসেম্বর থেকেই। মেট্রোরেলে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের যাতায়াতের জন্য আন্তর্জাতিক মানের সুযোগ-সুবিধা থাকছে। অন্ধ যাত্রীদের জন্যও চলাচলের উপায় থাকছে।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্রে জানা গেছে, এমআরটি লাইন-৬ এর আওতায় উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল পথের উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। মেট্রোরেল বাংলাদেশের প্রথম বৈদ্যুতিক ট্রেন। যা ঘণ্টায় ৬০ হাজার এবং এক দিনে ৫ লাখ যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। ৬টি কোচ সংবলিত প্রতিটি একমুখী মেট্রোরেল প্রতিবারে ৩৮ মিনিটে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১৬টি স্টেশনে থেকে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩০৮ জন যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।

ডিএমটিসিএল ও এমআরটি লাইন-৬ এর কর্মকর্তারা জানান, মেট্রোরেলে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের যাতায়াতের জন্য আন্তর্জাতিক মানের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। হুইল চেয়ার ব্যবহারকারী ও খর্বকায় ব্যক্তিরা যাতে টিকিট অফিস মেশিনের (টিওএম) মাধ্যমে সহজে টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন সেজন্য অপেক্ষাকৃত কম উচ্চতায় টিকিট বুথ রাখা হয়েছে। একইভাবে যারা হুইল চেয়ার ব্যবহার করেন তারা টিকিট ভেন্ডিং মেশিন (টিভিএম) ব্যবহার করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজের টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন, সে ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

যারা হুইল চেয়ার ব্যবহারকারী তাদের জন্য কি সুবিধা এসব বিষয়ে জানা যায়, হুইল চেয়ার ব্যবহারকারী যাত্রীদের পেইড জোনে সহজে প্রবেশ এবং বাহিরের জন্য হুইল চেয়ারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্বয়ংক্রিয় ভাড়া পরিশোধের প্রশস্ত গেট রয়েছে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন যাত্রীদের জন্য লিফটে উঠা নামার ব্যবস্থা রয়েছে। আবার লিফটের ভেতরে ধরার জন্য হাতল, নিম্ম উচ্চতায় কন্ট্রোল প্যানেল ও নিজের অবস্থান বোঝার জন্য আয়না রয়েছে। লিফটের কন্ট্রোল প্যানেলে ব্রেইল পদ্ধতির নির্দেশনা থাকবে। তাদের স্বাচ্ছন্দ্যে স্টেশনে ওঠা নামার জন্য লিফটের সামনের পথ ঢালু রাখা হয়েছে। মূক ও বধির যাত্রীরা ডিজিটাল নির্দেশিকা অনুসরণ করে স্বাচ্ছন্দ্যে মেট্রোরেল স্টেশনে ও মেট্রো ট্রেনে যাতায়াত করতে পারবেন। অন্ধ যাত্রীদের মেট্রো স্টেশনে চলাচলের জন্য ব্লাউন্ড স্টিম ব্যবহারের সুবিধার জন্য হলুদ রঙের ট্যাকটাইল পথের ব্যবস্থা থাকবে বলে ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

আরও জানা গেছে, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন যাত্রীরা শোনা ও দেখার মাধ্যমে সহজে মেট্রোরেলে যাতায়াত করতে পারবেন। ট্রেনের কোচের বর্হিভাগ ও প্ল্যাটফর্মের মধ্যে সর্বত্র এমনভাবে ফাঁকা রাখা হবে যাতে যাত্রীরা নিরাপদ ও সহজে মেট্রোতে ওঠা নামা করতে পারেন।
ডিএমটিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনএএম ছিদ্দিক জানিয়েছেন, নিরাপত্তা ও নানা আনুষ্ঠানিকতার কারণে উদ্বোধনের দিন জনসাধারণের মেট্রোরেলে চড়ার সুযোগ রাখা হচ্ছে না। সাধারণ মানুষ পরদিন মেট্রোরেলে উঠতে পারবে।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) সূত্র মতে, প্রাথমিকভাবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার মেট্রোর জন্য উন্মুক্ত করা হবে। এই পথে থাকবে ৯টি স্টেশন। মেট্রোর প্রথম স্টেশন উত্তরা উত্তর। এরপরের স্টেশন উত্তরা সেন্টার, তারপর উত্তরা দক্ষিণ, এরপর পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজিপাড়া, শ্যাওড়াপাড়া এবং সবশেষ স্টেশন আগারগাঁও। প্রতি দশ মিনিট পর পর ট্রেন আসবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মেট্রোরেল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ