Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বাধীনতার বীজ সাংস্কৃতিক আন্দোলনই বপন করে : প্রতিমন্ত্রী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৫১ পিএম

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, সাংস্কৃতিক আন্দোলনই স্বাধীনতা আন্দোলনের বীজ বপন করে এবং এর মাধ্যমে স্বাধীনতা পরিপূর্ণতা লাভ করে। ষাটের দশকে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্টি হওয়া ছায়ানট, উদীচীসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন মহান মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রই ছিল তখন সাংস্কৃতিক আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু। সেসময় সংস্কৃতিকর্মীরা মুক্তিযোদ্ধাদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করেছিল। মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে রোববার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‌‘মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

কে এম খালিদ বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বিভিন্ন ধারাবাহিক স্বাধিকার ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে এদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৮’র সামরিক শাসন জারি, ১৯৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬’র ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালের নির্বাচন ও ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে জন্ম লাভ করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।

স্বাধীনতা আন্দোলনের গৌরবময় ইতিহাসে কোথায় রয়েছে জিয়াউর রহমানের নাম প্রশ্ন রেখে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাঠক ও ঘোষক কোনোদিন এক হতে পারে না। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন। সংস্কৃতি সচিব মো. আবুল মনসুর বলেন, বুদ্ধিবৃত্তিক সাংস্কৃতিক চর্চা রাজনৈতিক অধিকার সচেতন করে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন সংস্কৃতিকর্মীরা। সুকুমারবৃত্তির বিকাশ, সৃজনশীলতা ও মননশীলতা বিকাশে সংস্কৃতি চর্চা ও বিকাশ অত্যাবশ্যক। কেননা, সংস্কৃতি চর্চা মানুষের মনের অন্ধকার, গোঁড়ামি ও কুসংস্কার দূর করতে সহায়তা করে।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অসীম কুমার দে, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুবকর সিদ্দিক ও জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক কবি মিনার মনসুর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ