Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স উত্তাপের ফাইনাল

স্পোর্টস ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০৫ এএম

টানা দুটি বিশ্বকাপ জয়ের কীর্তি গড়ার হাতছানি ফ্রান্সের সামনে। আর আর্জেন্টিনা মুখিয়ে বিশ্ব সেরার মঞ্চে ৩৬ বছরের শিরোপা খরা কাটানোর লক্ষ্যে। গত আসরেই দেখা হয়েছিল দুই দলের, সেটা অবশ্য শেষ ষোলোয়। কাতারে এবার শিরোপা লড়াইয়ে মুখোমুখি তারা। দুই দলই আগে দুবার করে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তৃতীয় শিরোপার আশায় লুসাইল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় আজ রাত ৯টায় লড়াইয়ে নামবে আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। তার আগে চলুন দেখে নেই দুই দলের কিছু পরিসংখ্যান-

এ নিয়ে বিশ্বকাপে ষষ্ঠবারের মতো ফাইনাল খেলছে আর্জেন্টিনা। বিশ্ব সেরার মঞ্চে সর্বোচ্চ ৮ বার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ খেলেছে জার্মানি। ৭ বার শিরোপার মঞ্চে উঠে ২ বার রানার্সআপ হয়েছে রেকর্ড পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল।

১৯৩০ সালে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী আসরে ফাইনাল খেলেছিল আর্জেন্টিনা, যেখানে উরুগুয়ের বিপক্ষে হেরেছিল তারা ৪-২ গোলে। ১৯৭৮ সালে নেদারল্যান্ডসকে ৩-১ গোলে ও ১৯৮৬ সালে পশ্চিম জার্মানিকে ৩-২ গোলে হারিয়ে শিরোপার স্বাদ পায় দলটি। ১৯৯০ ও ২০১৪ সালে জার্মানদের কাছে ১-০ গোলে হেরে তৃতীয় বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন ভাঙে তাদের।

ফ্রান্স বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলছে চতুর্থবারের মতো। ১৯৯৮ সালে প্রথমবার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ খেলতে নেমেই শিরোপা ঘরে তোলে তারা ব্রাজিলকে ৩-০ গোলে হারিয়ে। পরে ২০০৬ সালের ফাইনালে ইতালির কাছে টাইব্রেকারে হেরে যায় ফরাসিরা। নিজেদের দ্বিতীয় শিরোপা জেতে দলটি গত আসরে ক্রোয়েশিয়াকে ৪-২ গোলে হারিয়ে।

২০০২ সালে ব্রাজিলের পর প্রথম দল হিসেবে টানা দুটি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলছে ফ্রান্স। ইতিহাসের তৃতীয় দল হিসেবে টানা দুইবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার হাতছানি দলটির সামনে। ১৯৩৪ ও ১৯৩৮ সালে ইতালি এবং ১৯৫৮ ও ১৯৬২ সালে ব্রাজিল পরপর দুইবার শিরোপা জিতেছিল।

বিশ্বকাপে এর আগে তিনবার মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। যেখানে দুইবার জয়ের মুখ দেখেছে আলবিসেলেস্তেরা, একবার জিতেছে ফরাসিরা।

১৯৩০ সালে উদ্বোধনী আসরে ফ্রান্সের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছিল আর্জেন্টিনা। এরপর ১৯৭৮ সালে ২-১ ব্যবধানে জেতে লাতিন আমেরিকার দলটি। বিশ্ব সেরার মঞ্চে দুই দলের সবশেষ দেখা চার বছর আগে। রাশিয়া আসরে শেষ ষোলোয় ৪-৩ গোলে আর্জেন্টাইনদের হারিয়ে দেয় ফরাসিরা।

সব মিলিয়ে ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনা পরস্পরের বিপক্ষে খেলেছে মোট ১২ ম্যাচ। সেখানে ৬ ম্যাচ জিতে দ্বিগুণ ব্যবধানে এগিয়ে আর্জেন্টিনা। ফ্রান্স জিতেছে তিনবার। দুই দলের বাকি তিন লড়াই ড্র হয়েছে।

আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবশেষ ৪২ ম্যাচে স্রেফ একটি হেরেছে আর্জেন্টিনা, সউদী আরবের বিপক্ষে চলতি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে। এই পথচলায় ২৯ ম্যাচ জিতেছে তারা, বাকি ১২টি ড্র।

কাতার বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ১২ গোল করেছে আর্জেন্টিনা। ১৯৮৬ সালে শিরোপা জয়ের পথে করা ১৪ গোলের পর যা এক আসরে তাদের সর্বোচ্চ।

এনিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলছেন লিওনেল মেসি। ২০১৪ সালে জার্মানির বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে যায় তার দল। বিশ্বকাপ ছাড়া ক্লাব ও জাতীয় দলের সম্ভাব্য সব শিরোপাই জিতেছেন সময়ের সেরা এই ফরোয়ার্ড।

কাতার বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ছয় ম্যাচে ৫ গোল করেছেন কিলিয়ান এমবাপে। ছাড়িয়ে গেছেন ২০১৮ আসরে ফ্রান্সের শিরোপা জয়ের পথে করা নিজের ৪ গোল। বিশ্বকাপে ১৩ ম্যাচ খেলে ২৩ বছর বয়সী এমবাপের গোল মোট ৯টি।

বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বোচ্চ ১১ গোলের রেকর্ড এখন মেসির। ফাইনালে একটি গোল করলেই সর্বোচ্চ গোলের তালিকায় ব্রাজিল কিংবদন্তি পেলের পাশে বসবেন তিনি।

ফ্রান্সের হুগো লরিসের সামনে প্রথম অধিনায়ক হিসেবে দুটি বিশ্বকাপ জয়ের হাতছানি। তার নেতৃত্বেই গত আসরে বৈশ্বিক শিরোপা ঘরে তুলেছিল ফ্রান্স।

ফাইনালে নামলেই বিশ্বকাপে গোলরক্ষক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড হয়ে যাবে হুগো লরিসের। ছাড়িয়ে যাবেন তিনি জার্মানির ম্যানুয়েল নয়্যারের ১৯ ম্যাচ খেলার কীর্তি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ