পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আমরা (আওয়ামী লীগ) নই, জনগণের সঙ্গে ছলচাতুরী করেছে বিএনপি এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সব উন্নয়ন কাজ করেছে এবং করছে। গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে। জনগণের সঙ্গে কোনো ছলচাতুরী করেনি। গতকাল শনিবার ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের ২২তম সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত স্বাস্থ্য উপ-কমিটির সভায় তিনি বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা জনগণের সঙ্গে ছলচাতুরী কি করলাম? জনগণকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াদা করেছিলেন ডিজিটাল বাংলাদেশের। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। আমরা কথা দিয়েছি, কথা রেখেছি। তিনি আরো বলেন, আমরা বলেছিলাম পদ্মা সেতু করব। শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু করতে গেলেন। বিশ্বব্যাংক অপবাদ দিয়ে চলে গেল। নেত্রী (শেখ হাসিনা) ঘোষণা দিলেন, আমাদের নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করব। তখন অনেকে উপহাস-কটাক্ষ করেছিল। কিন্তু তিনি সেই সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন। মেট্রো রেল করবো বলেছি, ২৮ তারিখ প্রথম অংশের উদ্বোধন। বলেছি রাস্তাঘাট করব, একশ নতুন রাস্তা, একদিনে একশ সেতুর উদ্বোধন করেছি। ছলচাতুরী কোথায় করলাম? টানেল করবো বলেছি বঙ্গবন্ধু টানেল আমরা করেছি। এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই দেশে আওয়ামী লীগই প্রথম সরকার যে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে। ’৭৫ পরবর্তীকালে শান্তিপূর্ণভাবে এদেশে আর কেউ ক্ষমতা হস্তান্তর করেননি। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি গণতন্ত্রের নামে ভোট চুরি। এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার। ওয়ান-ইলেভেন কি এমনিতে এসেছে? জাতির সঙ্গে ছলচাতুরী বিএনপি করেছে। সবই বিএনপি করেছে। আমরা করিনি।
লোডশেডিং হওয়ার কথা থাকলেও হচ্ছে না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই যে একটা বিশ্বকাপ। বিকেল চারটা, রাত ৯টায়, রাত এগারোটায়, রাত একটায়। একদিনে চারটা করে খেলা। সবশেষ। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ। পরেরদিন ফাইনাল। এই পর্যন্ত কোথাও কি লোডশেডিং হয়েছে? অথচ লোডশেডিং হওয়ার কথা ছিল।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ৭১ এর যে সংকট এক রকম, আজকের আমাদের সংকটা আরেক রকম। তখন আমাদের জনসংখ্যা ছিল কম, তারপরও সমাজ ছিল ঐক্যবদ্ধ। এখন জনসংখ্যাও বেশি, আমাদের আয়ও অনেক বেড়েছে। তিনি আরো বলেন, তদবির করে নিষেধাজ্ঞা দিতে চেষ্টা করে, যুক্তরাষ্ট্র ২০ দেশের ৭০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। সেখানে বাংলাদেশ নেই। আমীর খসরু মাহমুদ সাহেব কোমরে আটঘাট বেঁধে একেবারে ওয়াশিংটন গেছেন বাংলাদেশকে নিষেধাজ্ঞা দিতে। আজকে নিষেধাজ্ঞায় আমরা জর্জরিত, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যুদ্ধ এবং নিষেজ্ঞায় সারা দুনিয়া তাল-মাটাল অবস্থা। মন্দার মধ্যে আমরা এখনো ঠিকে আছি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংকটকে সম্ভাবনার রূপ দেন। ক্রাইসিস থেকে অপরচুনিটি সৃষ্টি করেছেন। বিএনপির আমলে বিশ্বকাপের খেলায় প্রতিদিন কোথাও না কোথাও গোলমাল। বিদুৎ অফিস ভাঙচুর, নিত্য দিনের ঘটনা। বিদ্যুৎতের দাবিতে মিছিল করলে মানুষকে গুলি করে, সারের দাবিতে কৃষকদের ওপর গুলি, এসব তো দেখলাম। মজুরির দাবিতে শ্রমিকদের ওপর, তারাই জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছে। গণতন্ত্র তারাই গিলে খেয়েছে। গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে গিয়ে আমরা একটা বিকশমান প্রক্রিয়া আছি। গণতন্ত্র আমাদের দেশে ২১ বছর ছিল না। ২১ বছর মানবাধিকারও আমাদের ছিল না।
আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ কমিটির আহ্বায়ক ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভায় আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা প্রমূখ। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।