Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাবা শরিফের নবনিযুক্ত খতিব শায়খ ড. ইয়াসির বিন রাশেদ দাওসারি

প্রথম জুমায় যা বললেন কাবাঘরের নতুন খতিব শায়খ ইয়াসির

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২, ৪:৪৩ পিএম

মসজিদুল হারামে খুতবা প্রদান ও জুমা নামাজ পড়িয়েছেন কাবা শরিফের নবনিযুক্ত খতিব শায়খ ড. ইয়াসির বিন রাশেদ দাওসারি। খতিব হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর এটাই ছিল তার প্রথম জুমা। শুক্রবার (১৬ ‍ডিসেম্বর, ২২ জুমাদাল উলা) প্রথম জুমার খুতবায় শায়খ ইয়াসির আল-দাওসারি প্রথমেই মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন। এরপর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর দরুদ প্রেরণ করেন।

আলোচনায় তিনি মুমিনদের তাকওয়া অবলম্বনের উপদেশ দিয়ে সুরা নিসা থেকে তেলাওয়াত করেন, ‘আর তোমাদের পূর্বে যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তাদেরকে এবং তোমাদেরকে আমি নির্দেশ দিয়েছি যে, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। আর যদি কুফরী কর, তাহলে আসমানসমূহে যা আছে এবং যা আছে যমীনে সব আল্লাহরই। আর আল্লাহ অভাবহীন, প্রশংসিত।’ (সুরা নিসা, আয়াত ১৩১)

তিনি আরও বলেন, বান্দার ওপর আল্লাহর অন্যতম অনুগ্রহ হলো, তিনি সত্য অনুসরণ ও চেনার জন্য কিছু নিদর্শন দিয়েছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর নিদর্শন ও সৃষ্টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করে, তিনি সহজেই আল্লাহর পরিচয় পেয়ে যান। শায়খ ড. ইয়াসির বিন রাশেদ দাওসারি তার প্রথম দিনের খুতবার আলোচনায় তাওহিদের গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা করেন। এসময় তিনি আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শিরক থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।তিনি বলেন, ‘একমাত্র মহান আল্লাহর ইবাদত করা এবং তাঁকে সৃষ্টিকর্তা ও একমাত্র প্রতিপালক হিসেবে বিশ্বাস করা একজন মুসলিমের প্রধান কর্তব্য। এটি ছিল যুগে যুগে সব নবী-রাসুলের দাওয়াতের প্রধান লক্ষ্য।’ এরপর তিনি পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতের আলোকে এর ব্যাখ্যা তুলে ধরেন।

উল্লেখ্য, ৭ ডিসেম্বর (বুধবার) সউদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ রাজকীয় আদেশে শায়খ ড. ইয়াসির বিন রাশেদ দাওসারিকে খতিব হিসেবে নিয়োগ দেন।শায়খ দাওসারি বর্তমান বিশ্বের অন্যতম কারিদের একজন। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খ্যাতিমান কারিদের কাছে ইলমে কিরাত শিখেছেন এবং সনদ লাভ করেছেন। সউদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তিনি আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার বিচারকের দায়িত্বও পালন করে থাকেন।

শায়খ ড. ইয়াসির আদ দাওসারি ১৯৮০ সালে সউদি আরবের রাজধানী রিয়াদে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৫ বছর বয়সের আগেই শায়খ বাকরি তাবারাবিশি ও শায়খ ইবরাহিম আল আখদারের কাছে পবিত্র কোরআন হেফজ সম্পন্ন করেন। ১ ছেলে ও ২ মেয়ের জনক শায়খ ইয়াসির কোরআন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও লেনদেন বিষয়ক একাধিক বই রচনা করেছেন। শায়খ ড. ইয়াসির বিন রাশেদ দাওসারিসহ কাবা শরিফের মোট নয়জন খতিব রয়েছে। হারমাইন কর্তৃপক্ষের দেওয়া শিডিউল অনুযায়ী তারা মসজিদুল হারামে জুমার নামাজ ও খুতবা প্রদান করে থাকেন।

সূত্র : হারামাইন শরিফাইন ওয়েব সাইট



 

Show all comments
  • hassan ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২, ৪:৫৭ পিএম says : 0
    কাবার ইমামের খতিব হয়ে লাভ কি সৌদি আরবে বাংলাদেশের মতো যিনা-ব্যভিচার সিনেমা গান বাজনা পুরুষরা মহিলারা পুরুষদের মত কাপড় পরছে চুল কাটছে ঘোড়ায় চলছে টাইট কাপড় পড়ে কনসার্ট হচ্ছে আরো কত জঘন্যতম প্রচারে তারা লিপ্ত হচ্ছে সেটাকে উনি বিরোধিতা করতে পারবেন কেননা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ না করলে কোন দোয়া কবুল হয় না আল্লাহ বলে দিয়েছেন কোরআনে কোরআন পড়ুন হাদিস পড়ুন>>>ইমাম সাহেব দাঁড়ি রেখেছেন অমুসলিমদের মতো নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মতো নয়> শরীয়তের সব বিধান অস্বীকার করেছে>> মহিলারা এখন বিনা মহরমের ছাড়া হজ করতে পারবেন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ