মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পানিতে কুমির, ডাঙায় বাঘ – সুন্দরবনের জনজীবনে একথা হামেশাই শোনা যায়। আর ভূগোলটা একটু বদলে যদি তাকানো যায় পৃথিবীর অন্য প্রান্তে, আফ্রিকা মহাদেশের দিকে, তাহলে এই কথাই একটু অন্যরকমভাবে শোনা যাবে। ওখানকার জীবনে সিংহ, জলহস্তি, বুনো ষাঁড়দের আনাগোনা। একদিকে সিংহের গর্জন তো আরেকদিকে জলহস্তির বিশাল হাঁ-মুখ।
পরিসংখ্যান বলছে, আফ্রিকায় প্রতি বছর জলহস্তির হামলায় বেশি মানুষ প্রাণ হারান। অথচ সিংহকে বেশি বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়। কিন্তু তা যে কেবলই একটা ধারণামাত্র, উগান্ডার সাম্প্রতিক ঘটনাই তার প্রমাণ। ২ বছরের এক শিশুকে গিলে ফেলার পর জনতার পালটা হামলার মুখে পড়ে জলহস্তি তাকে উগড়ে দিল! বরাতজোরে প্রাণ বাঁচল শিশুর। উগান্ডার লেক এডওয়ার্ডে হাড়হিম করা এই ঘটনা এখন সকলের মুখে মুখে ঘুরছে।
ঘটনা ঠিক কী ঘটেছিল? উগান্ডার লেক এডওয়ার্ড জলহস্তিদের বাস। খেলতে খেলতে তার সামনে চলে এসেছিল ২ বছরের এক শিশু। তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এক জলহস্তি। গিলে ফেলে বাচ্চাটিকে। মাথা, ধড় সমেত জলহস্তির পেটে চলে গিয়েছিল প্রায়। চোখের সামনে এসব দাঁড়িয়ে দেখছিলেন লেক এডওয়ার্ডের আশেপাশের বাসিন্দারা। জলজ্যান্ত এক শিশু কীভাবে মৃত্যুর মুখে পড়ল, তা চর্মচক্ষে দেখেও যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না কেউ। অসহায়ের মতো তাকিয়ে ছিলেন।
এতক্ষণের কাহিনি পড়ে যদি আঁতকে ওঠেন, তাহলে বলতেই হয়, চমকের আরও বাকি। ২ বছরের শিশুকে জলহস্তি ওভাবে গিলে খাচ্ছে – এমন ভয়াবহ দৃশ্যের সামনে দাঁড়িয়ে আতঙ্কে চিল চিৎকার শুরু না করে স্থানীয় এক বাসিন্দা যা করলেন, সে আরেক কাহিনি। জলহস্তিকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করেন ওই বাসিন্দা। তাতে ভয় পেয়ে যায় বৃহৎ প্রাণীটি। আর সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চাটিকে উগড়ে বের করে দিয়েই প্রাণ বাঁচাতে ছুটতে শুরু করে। ব্যস, সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসে ২ বছরের খুদে।
স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন জানাচ্ছে, এভাবে শিশুর উপর জলহস্তির আক্রমণ নজিরবিহীন। কোন পরিস্থিতি থেকে সে শিশুটিকে গিলে ফেলছিল, তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। তবে বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমনিতে তৃণভোজী জলহস্তি নিরীহ। কিন্তু কখনও কখনও খেপে গেলে মারাত্মক। বিশেষত তাদের চারণভূমিতে অন্য কাউকে দেখলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তখন তার চেয়ে হিংস্র প্রাণী খুব কম দেখা যায়। আর শিশুকে গিলে ফেলা জলহস্তি দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়েই ওই কাজ করেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই পরিস্থিতিতেও ক্রিসপাস বাগোঞ্জা নামে ওই যুবক যেমন সাহসের পরিচয় দিল, তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ পুলিশ। আপাতত লেক এডওয়ার্ডে ‘হিরো’ হয়ে গিয়েছেন ক্রিসপাস। সূত্র: ইভনিং স্ট্যান্ডার্ড।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।