পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেল উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে উপস্থিত থেকে মেট্রোরেল উদ্বোধন করবেন। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গতকাল বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানান। এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এমএএন ছিদ্দিক জানান, ডিসেম্বরের শেষে মেট্রোরেল উদ্বোধন করা হবে। তাই এ মাসের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে উদ্বোধনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত হবে মেট্রোরেল।
মেট্রোরেলের সবশেষ কাজ হিসেবে বিবেচিত সিস্টেম ইন্টিগ্রেশনের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়েছে। ১২টি ট্রেন চলাচলের জন্য প্রস্তুত করা হলেও ১০টিতে সরাসরি যাত্রী পরিবহন করা হবে জানিয়ে এমএএন ছিদ্দিক বলেন, বাকি দুটি যেকোনও সময়ে চলাচলের জন্য ডিপোতে প্রস্তুত থাকবে। ট্রেন দুটি পরিচালনার কর্মকর্তারাও প্রস্তুত থাকবেন। যাত্রীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেদিকটি মাথা রেখে সবসময় ব্যাকআপ রাখতে হয়।
যাত্রী পরিবহনের বিষয়ে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক চর্চায় উদ্বোধনের পর প্রথমদিন থেকেই মেট্রোরেলে পরিপূর্ণভাবে যাত্রী পরিবহন করা হয় না। পর্যায়ক্রমে যাত্রী বহন বাড়াতে হবে। পরবর্তী ২-৩ মাসের মধ্যে শতভাগ যাত্রী পরিবহন করা যাবে।
জানা গেছে, উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত দীর্ঘ ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার মেট্রোরেল নির্মাণের কাজ চলমান। এরমধ্যে উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের উদ্বোধন করা হবে ২৮ ডিসেম্বর। এই রুট চালু হওয়ার পর আগারগাঁও থেকে যাত্রী পরিবহনে মেট্রো স্টেশন এলাকায় বিআরটিসির ডিপো তৈরির কাজ চলছে। যাত্রীদের চাপ সামাল দেবে বিআরটিসির বাস সার্ভিস। বাণিজ্যিকভাবে দেশের প্রথম মেট্রোরেল-এমআরটি লাইন সিক্সের প্রথম অংশ উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে চলবে ২৮ ডিসেম্বর। তারপর এক বছর পরেই আগারগাঁও থেকে মতিঝিলের বাকি অংশও চালু হয়ে যাবে। মোট ১৬টি মেট্রো স্টেশনের ৯টি আগারগাঁও থেকে দিয়াবাড়ি অংশে। স্টেশনের মূল ভবনের ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ শেষ হয়েছে বেশ আগেই। মেট্রোরেল চলাচলের সঙ্গে যারা জড়িত থাকবেন তাদের নিজস্ব একটি যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে কেন্দ্রীয় মনিটরিং কক্ষের সাথেও। যাকে বলা হচ্ছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিকম ম্যাথড। এ জন্য জন্য বিটিআরসি থেকে অনুমতি নেয়া হয়েছে।
মেট্রোরেলের ভাড়া পরিশোধে থাকবে র্যাপিড পাস। প্রাথমিক হার অনুযায়ী একজন যাত্রী মেট্রোরেলে ওঠার পর সর্বনিম্ন ২০ টাকা ভাড়া দিয়ে দুই স্টেশন পর্যন্ত যেতে পারবেন। পরবর্তী প্রতি স্টেশনে যেতে বাড়তি ১০ টাকা করে ভাড়া দিতে হবে। উত্তরার তিনটি স্টেশন বাদ দিলে অন্য সব স্টেশনের প্রতিটির মধ্যে দূরত্ব এক কিলোমিটার বা তার কম। ফলে প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া হবে প্রায় ১০ টাকা। মোট ৩৫ মিনিটে উত্তরা থেকে মতিঝিল যেতে পারবেন যাত্রীরা। বর্তমানে রাজধানীতে বড় বাসের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ২ টাকা ১৫ পয়সা। মিনিবাসের ভাড়া ২ টাকা ৫ পয়সা। সর্বনিম্ন ভাড়া বড় বাসে ১০ টাকা এবং মিনিবাসে ৮ টাকা। মেট্রোরেলে উত্তরা থেকে মতিঝিল পথ পাড়ি দিতে লাগবে ৯০ টাকা। ভাড়ার প্রস্তাবে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে বিদ্যুৎ খরচ, জনবলের বেতন-ভাতা এবং কোচ ও অন্যান্য স্থাপনার রক্ষণাবেক্ষণ খরচ। মেট্রোরেল চলাচল শুরু হলে প্রতিদিন ভোর থেকে দুই দিক থেকে যাত্রা করবে। প্রাথমিকভাবে রাত সাড়ে ১১টায় সর্বশেষ ট্রেন ছাড়বে। ভাড়া আদায়ে বসবে অটোমেটিক ফেয়ার কালেকশন সিস্টেম সফটওয়্যার। মেট্রোরেলের নির্মাণের কারণে রাজধানী উত্তরা দিয়াবাড়ী থেকে মতিঝিল পর্যন্ত সড়কের মাঝের জায়গা বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। কাজ প্রায় শেষের দিকে আসায় সরিয়ে নেয়া হচ্ছে রোড ব্যারিয়ার। ফলে প্রশস্ত হচ্ছে সড়ক। এতে কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছে বিভিন্ন যানবাহনের চালক ও নগরবাসী।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের প্রফেসর ড. শামসুল হক ইনকিলাবকে বলেন, মেট্রোরেল পুরো অংশ চালু হলে নগরবাসী বেশি সুবিধা পেত। এখন যেহেতু আংশিক চালু হচ্ছে সেক্ষেত্রে নগরীর কিছু এলাকার মানুষ এর সুবিধা পাবেন। একটি নগরীর জনগোষ্ঠীর খÐিত একটি অংশ এই সুবিধা ভোগ করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।