গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন ‘ভূমি ব্যবহার ও মালিকানা স্বত্ব’ সহ তিনটি আইনের খসড়া চূড়ান্ত করার পথে রয়েছে। তিনি আরো বলেন, আগামী বাজেট অধিবেশনের আগেই আইন তিনটির খসড়া বিল আকারে সংসদে উপস্থাপনের জন্য পাঠানো হবে।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী আজ বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা নেটজ পার্টনারশিপ ফর ডেভেলপমেন্ট এন্ড জাস্টিস (নেটজ বাংলাদেশ)’র উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
একই সময়ে ‘ভূমি ব্যবহার স্বত্ব গ্রহণ আইন’ এবং ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন’ এর খসড়াও সংসদে প্রেরণ করা সম্ভব হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী জানান, ‘ভূমি ব্যবহার ও মালিকানা স্বত্ব আইনে’র আওতায় নাগরিকদের ‘সার্টিফিকেট অফ ল্যান্ড ওনারশিপ’ তথা সিএলও নামক একটি ডকুমেন্ট দেওয়া হবে, যেখানে ভূমি মালিকানার সব তথ্য থাকবে এবং জমির মালিকানা প্রমাণের জন্য বিভিন্ন ধরণের দলিলাদির প্রয়োজন হবেনা।
তিনি বলেন, এছাড়া একই সাথে স্মার্ট কার্ডও দেওয়া হবে। কার্ডে মালিকানার সব ডিজিটাল তথ্য থাকবে। ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার’ আইনের আওতায় অবৈধ ভূমি দখলকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করে উপযুক্ত শাস্তি ও জরিমানার ব্যবস্থা থাকবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘ভূমি ব্যবহার স্বত্ব গ্রহণ’ আইনের আওতায় মাটির তলদেশ দিয়ে পাইপলাইন স্থাপন ও মাটির নিচে অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে পুরো জমি অধিগ্রহণ করার প্রয়োজন হবেনা, অধিকন্তু জমির মালিক আর্থিক ক্ষতিপূরণ পাবেন।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, তিনটি আইন পাস হলে তা ভূমিসেবা ডিজিটালাইজেশনের পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে যা পুরো ভূমি ব্যবস্থাপনায় আমূল সংস্কার আনবে।
বর্তমান সরকার কাউকে সংখ্যালঘু হিসেবে বিবেচনা করেনা বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক, আমরা বাংলাদেশী। বাংলাদেশ বহু নৃ-গোষ্ঠী সম্বলিত একটি দেশ। সরকারের গৃহায়ন কর্মসূচির আওতায় গৃহহীন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবারের জন্য বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান, ডাসকো ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আকরামুল হক অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ভুক্ত তিনজন বাংলাদেশী নাগরিক অনুষ্ঠানে তাদের কথা জানান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাঁওতাল, বাঙ্গালী, গারো সহ দেশের বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত ব্যক্তিবর্গ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।