মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : জার্মানির মানুষ ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন পালনের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত। খ্রিস্টানদের বৃহত্তম এ ধর্মীয় উৎসবের কেনাকাটার জন্য রাজধানী বার্লিনের ব্যস্ত একটি ক্রিসমাস মার্কেটে জড়ো হন অনেকে। সেখানেই সাধারণ মানুষের ওপর তীব্র গতিতে ঢুকে পড়ে ঘাতক ট্রাক। এতে নিহত হন অন্তত ১২ জন। আহতের সংখ্যা কমপক্ষে অর্ধশত। উৎসবের আনন্দে মৃত্যুদানব হয়ে ঢুকে পড়া লরিটির লাইসেন্স প্লেট ছিল পোল্যান্ডের। চালকের পরিচয় এখনও পুলিশ প্রকাশ করেনি। পুলিশ জানিয়েছে, ঘাতক লরির চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার এক সঙ্গী নিহত হয়েছে। এ যেন উৎসবের আনন্দের মাঝে মৃত্যুর বিভীষিকা। হামলার কিছুক্ষণের মধ্যেই এলাকাটি ঘিরে ফেলে পুলিশ। ট্রাক হামলার খবর পুলিশ কর্তৃপক্ষ নিজেদের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে জানিয়ে দেয় সবাইকে। আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে রাস্তায় না বেরোনোর পরামর্শও দেয়া হয়। চলন্ত লরিটি ক্রিসমাস মার্কেটের প্রায় আশি মিটার ভিতরে ঢুকে পড়ে। ফলে লরির যাত্রাপথে যারা পড়েছেন, তাদের প্রত্যেকেই হতাহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গত সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৮টার দিকে ব্রাইটশেইডপ্লাৎজের এ ঘটনাকে একটি হামলা হিসেবেই দেখছেন জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টোমাস মাইজিরে।
ঘটনাস্থলের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শেয়ার না করার জন্য সবার প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ। এরইমধ্যে এ হামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। জার্মান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেলকে এ ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করেছে। মারকেল সরকারের মুখপাত্র স্টেফেন সাইবার্ট টুইটারে লিখেছেন, নিহতদের জন্য আমরা শোকাহত। আশা করছি যারা আহত হয়েছেন, তাদের রক্ষা করা যাবে। এদিকে বার্লিনের মেয়র মিশেল ম্যুলার দাবি করেছেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, দোকানপাট ভেঙে জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে; তার মাঝে দাঁড়িয়ে আছে একটি কালো রংয়ের আর্টিকুলেটেড লরি, যার উইন্ড শিল্ড ফেটে চৌচির। বিরাট ওই বাহনের একপাশের চাকার নিচে আটকে আছে একটি মোচড়ানো ক্রিসমাস ট্রি। লরির চালক সন্দেহে একজনকে আটক করেছে বার্লিনের পুলিশ। তবে গাড়ির ভেতরে আরেকজনকে পাওয়া গেছে মৃত অবস্থায়। লরি চালিয়ে মানুষ চাপা দিয়ে হত্যাকা- এটাই প্রথম নয়। ২০১৬ সালের ১৪ জুলাই ফ্রান্সের নিস শহরে একটি উৎসবে ভিড়ের মধ্যে লরি উঠিয়ে দিয়ে ৮৬ জনকে হত্যা করা হয়। এক পর্যায়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন হামলাকারী চালক। অপর এক খবরে বলা হয়, সন্ধ্যার পর ইস্পাত বহনকারী ওই ট্রাক যখন বাজারে ঢুকে পড়ে, কাঠের ছোট ছোট দোকানগুলো তখন পর্যটক আর স্থানীয় ক্রেতাদের ভিড়ে জমজমাট। ওই ভিড় মাড়িয়েই লরি নিয়ে ৫০ থেকে ৮০ মিটার এগিয়ে যায় চালক। এমা রাশটন নামে এক পর্যটক সিএনএনকে বলেছেন, প্রথমে তারা বিকট শব্দ শুনতে পান। তারপর একটি আর্টিকুলেটেড লরিকে দোকান ভেঙে মানুষের ওপর দিয়ে ছুটে আসতে দেখেন। সে সময় ট্রাকটির গতি ঘণ্টায় অন্তত ৬৫ কিলোমিটার ছিল বলে তার মনে হয়েছে। মাইক ফক্স নামের আরেক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মাত্র তিন মিটার সামনে দিয়ে ট্রাকটিকে ছিটকে বেরিয়ে যেতে দেখেন তিনি। এটা পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে, কোনো সন্দেহ নেই, বলেন এই ব্রিটিশ পর্যটক। গত জুলাইয়ে ফ্রান্সের নিস শহরে একটি উৎসবের ভিড়ে ট্রাক চালিয়ে দিয়ে ৮৬ জনকে হত্যা করা হয়। পরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন হামলাকারী ট্রাকচালক। বিবিসি, সিএনএন, আল-জাজিরা, ডয়চে ভ্যালে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।