মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীনের কাছে ঋণে গলা অবধি ডুবে গিয়েছে জিবুতি। বেইজিংয়ের কাছে কার্যত বিকিয়ে গিয়েছে আফ্রিকার ছোট্ট দেশটি। আপাতত বকেয়া মেটানোর ক্ষমতা নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে তারা। আর আন্তর্জাতিক মঞ্চে এমন ঘটনাবলি উদ্বিগ্ন করে তুলেছে ভারতকে।
প্রশ্ন হচ্ছে, হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে সমূদ্রপারের দেশটির দুর্গতিতে ভারত কেন উদ্বিগ্ন? এর উত্তর লুকিয়ে রয়েছে জিবুতির ভৌগলিক অবস্থানে। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, কৌশলগত অবস্থানের জন্য ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ’ জিবুতি। এডেন উপসাগর থেকে লোহিত সাগর হয়ে সুয়েজ খালমুখী জলপথের বাব-এল-মান্দেব প্রণালীতে অবস্থিত দেশটিতে রয়েছে চীনের নৌঘাঁটি। এখান থেকে আরব সাগরে ভারতীয় নৌসেনাকে টক্কর দিতে পারবে তারা। ফলে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে গুজরাট উপকূল থেকে শুরু করে ভারতের গোটা পশ্চিমের সমুদ্রবর্তী এলাকা চীনা রণতরীগুলির আওতায় চলে আসবে।
উল্লেখ্য, মার্কিন আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে চীন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নতুন মহাশক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে কমিউনিস্ট দেশটি। সম্প্রতি নয়াদিল্লির উদ্বেগ বাড়িয়ে প্রকাশ্যে আসে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের একটি রিপোর্ট। সেখানে বলা হয়, জিবুতিতে তৈরি নৌঘাঁটিতে দ্রুত যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী ও সাবমেরিন মোতায়েন করতে চলেছে চীন। ভারত মহাসাগরে লালফৌজের ‘অতি-তৎপরতা’ নয়াদিল্লির মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠবে বলে মনে করছে মার্কিন সেনাবাহিনী।
বিশ্লেষক মহলের মতে, জিবুতিকে সাহায্য করে ইচ্ছাকৃত ভাবেই দেশটিকে নিয়ন্ত্রণে চীন। এভাবে দেশটিকে কার্যত ক্যান্টনমেন্টে পরিণত করতে চাইছে লালফৌজ বা পিপলস লিবারেশন আর্মি। আগেই পাকিস্তানের গোয়েদার বন্দরে চীনা সামরিক গতিবিধির খবর উদ্বেগ বাড়িয়েছে দিল্লির। এবার জিবুতিতে চীনা নৌঘাঁটি সেই উদ্বেগের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিল। তার উপর সম্প্রতি, অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে সংঘাত পরিস্থিতি আরও ঘোরাল করে তুলেছে। সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।