Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লিবিয়ায় রাজনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে

| প্রকাশের সময় : ২১ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : গত কয়েক বছরের গৃহযুদ্ধে লিবিয়া পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। দেশের কোণায় কোণায় রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়েছে। এসব নতুন কোনো খবর নয়। লিবিয়া সম্পর্কে নতুন খবর হচ্ছে দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। এখনও দেশের অনেক জায়গায় অস্থিরতা ও লড়াই চলছে। কোথাও কোথাও ইসলামিক স্টেট (আইএস) জেহাগিদের দখলে রয়েছে তারপরও দেশটিতে গত বছরে রাজনীতিতে কিছুটা স্থিরতা এসেছে। এটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির জন্য খানিকটা স্বস্তির খবর। তবে পুরোপুরি সুস্থির হতে অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে লিবিয়াকে। এক বছর আগে ইউনাইটেড ন্যাশনস সাপোর্ট মিশন ইন লিবিয়ার’ সহযোগিতায় লিবিয়ার রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি রাজনৈতিক সমঝোতা হয়। এরপরই সর্বদলীয় একটি সরকার গঠন করা হয়। দেশটির এক-তৃতীয়াংশ রাজনৈতিক দল এ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছে। আর জাতিসংঘ সমর্থিত ঐক্যমতের সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন ফায়েজ সারাজ। লিবিয়ার এ সরকার প্রেসিডেন্ট কাউন্সিল নামেই বেশি পরিচিত। এর সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশটির চেহারা পাল্টাতে শুরু করে। গত শনিবার ছিল সেই সরকারর এক বছর পূর্তি। এক বছরে লিবিয়ার বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সহিংসতা কমে আসায় এবং দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় বেশ সন্তুষ্ট বিশ্ব সম্প্রদায়।
গত এক বছর লিবিয়ার আন্তর্জাতিক অংশীদার এবং রাজনৈতিক নেতারা অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তার বিষয়ে বেশি গুরুত্বারোপ করছে। তারা আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্বের সেতু বন্ধন জোরদার কারার ওপরও গুরুত্ব দিয়েছেন। সিরত ও লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চল থেকে আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই বেশ কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তারপরও লিবীয় বাহিনী চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আইএস-এর জন্য লিবিয়ার খুবই আকর্ষণীয় একটি দেশ। দেশটিতে সাময়িকভাবে শূন্যতাকেই তারা কাজে লাগাচ্ছে। আইএস এর দখল থেকে সিরত অনেকটাই মুক্ত করা হয়েছে। এখন আইএস ও আল-কায়েদা দেশটির দক্ষিণের দিকে নজর রাখছে।
রাজনৈতিক অস্থিরতা কিছুটা কমলেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসগুলো এখনও লিবিয়ার বাইরেই রয়েছে। ইতালিয়ান ও ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতরা সম্প্রতি লিবিয়া সফর করে। এ সময় তারা বেশ কিছু সময় কাটিয়েছে সেখানে। যত দূর জানা গেছে, আগামী বছর জানুয়ারির শেষ নাগাদ হয়তো দেশ দুটি তাদের মিশন লিবিয়ায় ফের শুরু করতে পারে। লিবিয়ার অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য এরই মধ্যে রাশিয়া আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তারা সামরিক ও রেলওয়ের কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। লিবিয়া যদি রাশিয়ার প্রস্তাবে সাড়া দেয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র আগের মতো তাদের এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা হয়তো করবে না। কারণও ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ক্ষমতায় আনতে মুখ্য ভূমিকা রেখেছেন পুতিন। যদিও লিবিয়া এ বিষয়ে এখনও তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানায়নি। তবে সব কিছু আগের মতো করতে তাদের এখনও অনেক কিছু করার বাকি আছে। বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ