নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
অনেক স্বপ্ন নিয়ে কাতার বিশ্বকাপ খেলতে এসেছিলেন নেইমার। কিন্তু কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকে বাদ পড়ে আগেভাগেই শেষ হয়ে গেছে তার পথচলা। আসর থেকে ছিটকে যাওয়ার পরপরই হতাশাগ্রস্ত নেইমার বলেন, আবার জাতীয় দলে খেলবেন কী না জানেন না তিনি। ব্রাজিলের সাবেক তারকা স্ট্রাইকার রোনাল্ডো অবশ্য উত্তরসূরিকে আরও অনেকদিন দেখতে চান দেশের জার্সিতে। ‘দ্য ফেনোমেনন’ আশাবাদী, কঠিন সময় পেছনে ফেলে নেইমার ফিরবেন আরও শক্তিশালী হয়ে।
সবশেষ ২০০২ সালে বিশ্বকাপ জেতা ব্রাজিল এবারের আসরে শুরুটা করেছিল প্রত্যাশিত, সার্বিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে। তবে ওই ম্যাচের ৮০তম মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন নেইমার। এজন্য মিস করেন পরের দুই ম্যাচ। শেষ ষোলোয় দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ফেরেন মাঠে এবং ৪-১ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচে পেনাল্টি থেকে একটি গোল করেন তিনি। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে কোয়ার্টার-ফাইনালেও জালের দেখা পান নেইমার। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ গোলশুন্য থাকার পর অতিরিক্ত সময়ে দারুণ এক গোল ব্রাজিলকে এগিয়ে দেন পিএসজি তারকা। কিন্তু শেষের দিকে সমতা টানা ক্রোয়াটরা পরে জেতে টাইব্রেকারে। হতাশায় ভেঙে পড়েন নেইমার। লুকিয়ে রাখতে পারেননি অশ্রু। এবার যে খুব করে বিশ্বকাপ জিততে চেয়েছিলেন তিনি ও তার দল। চলতি মৌসুমের শুরুতে পিএসজি তারকা বলেছিলেন, এবার তাকে দেখা যাবে ভিন্ন রুপে। বিশ্বকাপের বিরতির আগে পিএসজির হয়ে তার পারফরম্যান্সও ছিল দুর্দান্ত। কিন্তু বৈশ্বিক আসর থেকে ফিরতে হলো খালি হাতেই।
জাতীয় দল নিয়ে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি নেইমার। তবে আগে কয়েকবার ৩০ বছর বয়সী এই ফুটবলার ইঙ্গিত দেন, হয়তো এবারই শেষবারের মতো তাকে দেখা যাবে বিশ্বকাপে। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে হারের পরও তেমন আভাস দেন। তবে রোনাল্ডোর বিশ্বাস, জাতীয় দলকে এখনও অনেক কিছু দেওয়ার বাকি আছে নেইমারের। কাতারে গত সোমবার সাংবাদিকদের ২০০২ বিশ্বকাপ জয়ী এই তারকা বলেন, জাতীয় দলের প্রতি নেইমারের নিবেদন প্রশংসনীয়, ‘আমি মনে করি, এই মুহূর্তে সে বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ার কারণে হতাশ। তাই তার ওভাবে (ব্রাজিলের হয়ে আর না খেলার) ভাবাটাই স্বাভাবিক। তবে আমি নিশ্চিত সে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসবে এবং জাতীয় দলের হয়ে খেলা চালিয়ে যাবে। সে এখনও তরুণ এবং আমি বিশ্বাস করি, আগামী বিশ্বকাপে সে খেলতে পারবে। আমি খুব খুশি যে সে বিশ্বকে জাতীয় দলের প্রতি তার নিবেদন দেখিয়েছে এবং এজন্য গত ছয় মাসে নিজের যত্ন নিয়েছে। (তাকে পাওয়া) আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি আশা করি, সে দ্রুত এই কষ্ট কাটিয়ে উঠবে এবং পিএসজি ও সেলেসাওদের (ব্রাজিল) জন্য শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।