Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেহে ডিটক্স করতে দামি ওষুধের প্রয়োজন নেই

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

শরীরের অনেক সমস্যার চটজলদি সমাধানের জন্য বাজারে অনেক পণ্য পাওয়া যায়। ডিটক্সের নামে এমন মুশকিল আসান কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে মোটেই কার্যকর নয়। বরং স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রাই শরীর থেকে ক্ষতিকারক পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে। বিজ্ঞাপন জগতের কথা বিশ্বাস করলে মনে হবে, আমাদের শরীর যেন একটা টক্সিক টাইম বোমা। ডিটক্সই যেন একমাত্র মুশকিল আসান। ডিটক্সের অর্থ শরীরকে ক্ষতিকারক পদার্থ মুক্ত করা। এর পেছনে যে ধারণা কাজ করছে সেটা হলো, দৈনন্দিন জীবনে আমাদের শরীরে বিশাল মাত্রায় ক্ষতিকারক পদার্থ প্রবেশ করে। মেটাবোলিজম বা বিপাকের ফলে বর্জ্যও সৃষ্টি হয়। ধাতুর প্রক্রিয়াকরণের সময় যে বর্জ্য সৃষ্টি হয়, শরীরের মধ্যেও তেমন পদার্থ জমা হয় বলে সুসানে উমবাখ নামের এক পুষ্টিবিদ জানালেন। সুসানে উমবাখের মতে, শরীরের মধ্যেও সø্যাগ সৃষ্টি হয়। প্রবল উত্তাপের কারণে এমন অবাঞ্ছিত অবশিষ্টাংশ দেখা দেয়। কোলনের মতো শরীরের যে অংশ ডিটক্সিফিকেশন করে, চিমনির পাইপের মতো সেটিও সø্যাগমুক্ত করা প্রয়োজন বলে একটা ধারণা চালু রয়েছে। কিন্তু ঘটনা হলো, বিজ্ঞানের শিক্ষা অনুযায়ী আমাদের শরীরে আদৌ কোনো সø্যাগ নেই। অর্থাৎ, সø্যাগ দূর করারও কোনো প্রয়োজন নেই। স্বাস্থ্যবান মানুষের শরীরে ডিটক্সিফিকেশনের অঙ্গ হলো লিভার, কিডনি ও কোলোন। সেগুলো নির্ভরযোগ্যভাবে শরীরকে বিষমুক্ত করে। সুসানে উমবাখ মনে করেন, যথেষ্ট হাঁটাচলা করা, যথেষ্ট পরিমাণ তরল পান করাও অবশ্যই জরুরি। কারণ শরীর থেকে কোনো পদার্থ বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে তরলই সেরা মাধ্যম। খোলা আকাশের নীচে হাঁটাচলা করলে যথেষ্ট অক্সিজেন শরীরে প্রবেশ করে। এসব বিষয় শরীর এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্রিয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করে। সেগুলো ঠিকমতো কাজ করে এবং শরীর থেকে নানা পদার্থ দূর করে। ড. ক্রিস্টফ লেম্বেনৎসের মতো পুষ্টিবিদ ও চিকিৎসকও সেটা মনে করেন। ওয়াশিংটন সিটি পেপার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ