মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গৃহহীন সংকট চরমে পৌঁছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বড় অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলস নগরীতে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব নিয়েই নগরীতে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন সেখানকার নতুন মেয়র কারেন বাস। স্থানীয় সময় সোমবারই তিনি নগরীর নতুন মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেন। এরপরই প্রথম কাজ হিসেবে তিনি ‘গৃহহীন সংকট’ ঠেকাতে জরুরি অবস্থা জারি করেন। এই পদক্ষেপকে ‘ভূকম্প বদল’ আখ্যা দিয়ে মেয়র কারেন বাস বলেন, “এই পদক্ষেপ সমস্যাটি সমাধানের প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করবে।” লস অ্যাঞ্জেলেস ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার থেকে কারেন বাস বলেন, “আমি এই গৃহহীন সংকটকে মেনে নিতে পারছি না, যা ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে। এবং এর প্রভাব পড়ছে আমাদের প্রত্যেকের ওপর।” তিনি আরও বলেন, “আগামী দিনে গৃহহীনদের নিয়ে একাধিক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করব। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ও আধুনিক দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই দেশের অন্যতম বড় অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়া। আর বিলাসিতা ও উন্নতির মানদণ্ডে বিশ্বের অন্যতম সেরা একটি শহর এই ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলস। অথচ এখানেই রাস্তায় থাকতে হয় বহু সংখ্যক মানুষকে। লস অ্যাঞ্জেলস গৃহহীন সেবা কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, প্রতি বছরই শহরটিতে বেড়েই চলেছে গৃহহীনদের সংখ্যা। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পরিচালিত জনশুমারি অনুযায়ী ওই নগরীতের বর্তমানে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা ৬৯ হাজার ১৪৪ জন। বিগত বছরগুলোতে সেখানে গৃহহীনদের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়লেও করোনা মহামারীর সময়ে কিছুটা কমেছে বলে দাবি করেছে লস অ্যাঞ্জেলস গৃহহীন সেবা কর্তৃপক্ষ। এই সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি গত সেপ্টেম্বরে প্রকাশ করা হয়। যদিও এই জনশুমারিতে পূর্ববর্তী হিসাবের চেয়ে কিছুটা অগ্রগতির তথ্য দেয়, লস অ্যাঞ্জেলস কাউন্টির গৃহহীন জনসংখ্যার ৭০ শতাংশই এখনও বাইরে বসবাস করছে, যেখানে ৪৮ হাজার ৫৪৮ মানুষকে পুরোপুরি আশ্রয়হীন বলে মনে করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম এই লস অ্যাঞ্জেলস কাউন্টিতে চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে মানবিক বিপর্যয়। সেখানে গৃহহীনদের তাঁবু, ছাউনি, গাড়ি, আরভি (রিক্রিয়েশনাল ভেহিক্যালস), অস্থায়ী কাঠামোতে, ফ্রিওয়ে, সেতুর নীচে, প্রধান শহরের পার্ক, সমুদ্র সৈকত, রাস্তায় এবং ফুটপাতে রাত কাটাতে হচ্ছে। জানা গেছে, লস অ্যাঞ্জেলস কাউন্টিতে প্রতিদিন গড়ে পাঁচজন ঘরবিহীন লোক মারা যায়। তাদের কেউ কেউ গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপের কারণে মারা যায়। আবার শীতকালে অনেকের মৃত্যু হয় হাইপোথার্মিয়ার কারণে। তবে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সরকারি হিসাব অনুযায়ী, লস অ্যাঞ্জেলস নগরীতে মোট গৃহহীন মানুষের সংখ্যা ৪১ হাজার ৯৮০ জন, যা ২০২০ সালের জনশুমারি থেকে ১.৭ শতাংশ বেশি। ওই শহরের গৃহহীন এসব মানুষের মধ্যে ৬৮ শতাংশেরই পুরোপুরি আশ্রয়হীন বলে মনে করা হয়।” সিবিএস নিউজ, নিউ ইয়র্ক পোস্ট, এবিসি৭, দ্য গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।