মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ের ইয়াংৎসে এলাকায় গত রোববার সংঘর্ষে জড়ায় ভারত ও চীন। চীনা সেনার দাবি ছিল, ইয়াংৎসের ভারতীয় সেনা ছাউনি সরিয়ে দিতে হবে। আর তার জন্য ৩০০ সেনা নিয়ে তারা অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত দিয়ে আক্রমণ করে। প্রশ্ন উঠতেই পারে এই তাওয়াং এলাকার স্ট্র্যাটেজিক গুরুত্ব ঘিরে। কেন ওই জায়গাকেই সংঘর্ষের ময়দান হিসাবে চীন বেছে নিল? কেনইবা ওই এলাকায় ভারতীয় ছাউনি ঘিরে শঙ্কা রয়েছে চীনের?
লাদাখে ৩০ মাস ধরে চলা সংঘাতের আবহের পর এবার অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ৯ ডিসেম্বরের ঘটনা সেই তথ্যকে আরও প্রকট করছে। সংঘাতে ভারতীয় সেনার অন্তত ২০জন সদস্য গুরুতর আহত হয়েছে। কাঁটা লাগানো এক বিশেষ অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে চীনের সেনা হামলা চালায়। অরুণাচলের যে জায়গায় চীন সেনা এই আক্রমণ শানিয়েছে, দেখে নেওয়া যাক তার স্ট্র্যাটেজিক গুরুত্ব।
১৯৬২ সালের যুদ্ধে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সংলগ্ন এলাকার একটা বড় অংশ দখলে রেখেছিল চীন। ১৭ হাজার ফুট ওপরের অরুণাচল প্রদেশের এই তাওয়াংয়ের সেই দখল করা অংশ পরে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় চীন। কারণ সেই অংশগুলি ম্যাকমোহন লাইনের মধ্যে পড়ে গিয়েছিল। সেই অংশে ফের ফিরে পেতে চাইছে চীন। এই এলাকা দখলে রাখলে চীন বেশ কিছু সুবিধা পেতে পারে। দেখে নেয়া যাক সেই সমস্ত দিক।
চীন চাইছে তাওয়াং পোস্ট দখল করতে। তাহলে তারা তিব্বত ও এলএসি দুটি দিকেই নজরদারি রাখতে পারবে। এছাড়াও দালাই লামার সঙ্গে তাওয়াংয়ের যোগ রয়েছে। ১৯৫৯ সালে চীনের দখলে থাকা তিব্বত থেকে পালিয়ে এসে অরুণাচল প্রদেশে প্রথমে আশ্রয় নেন দালাই লামা। সেই সূত্র ধরে এই এলাকার সঙ্গে চীন সম্পর্কে ক্ষুব্ধ দালাই লামার যোগ রয়েছে।
তাওয়াং ও চাম্বা উপত্যকা ভারতীয় সেনার জন্য কৌশলগত দিক থেকে বেশ প্রাসঙ্গিক। কারণ তাওয়াং থেকে ভূটান সীমান্তে নজরদারি চালায় ভারত, আর চাম্বা থেকে নেপাল তিব্বত সীমান্তে নজরদারি চালায় ভারত। এদিকে, চীন দাবি করে অরুণাচলের একটা বড় অংশ তাদের। সেই জায়গা থেকে দুটি বিশেষ সেনা পোস্ট দখল করতে চায় চীন। যা পেলে অরুণাচলে নিজের দাবি জোরদার করার বার্তা দিতে পারবে বেইজিং। সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।