মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের অরুণাচল রাজ্যের চীন-ভারত সীমান্তে আবারও সংঘর্ষে জড়িয়েছে দেশ দুটির সেনারা। গত সোমবার (১২ ডিসেম্বর) রাজ্যের তাওয়াং সেক্টরে লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলওএসি) সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা। এর জেরে ঘটনাস্থলের আশপাশে যুদ্ধবিমানের টহল শুরু করেছে ভারত।
আসামের তেজপুর এবং ছাবুয়া সহ একাধিক স্থানে মোতায়েন করা সু-৩০ যুদ্ধবিমানগুলির স্কোয়াড্রন সহ উত্তর-পূর্বে ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি শক্তিশালী উপস্থিতি রয়েছে৷ পশ্চিমবঙ্গের হাশিমারায় রাফালে যুদ্ধবিমানগুলিও খুব কাছাকাছি মোতায়েন করা হয়েছে৷ ভারতীয় বিমান বাহিনী শুধুমাত্র আসাম সেক্টরে এসS-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম চালু করার মাধ্যমে এই এলাকায় তার বিমান প্রতিরক্ষা কভারেজকে শক্তিশালী করেছে। এ সিস্টেমটি প্রায় পুরো এলাকা জুড়ে যেকোন বায়বীয় হুমকির যত্ন নিতে পারে। চীনা এবং ভারতীয় পক্ষ সম্প্রতি এ বছরের শুরুর দিকে লাদাখ সেক্টরে আকাশসীমা লঙ্ঘনের পরে যে কোনও উত্তেজনা বৃদ্ধি রোধ করার জন্য একাধিক পদক্ষেপে সম্মত হয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকা লিখেছে, চীন সীমান্তের কাছে গত মাসে ভারত ও মার্কিন বিমানবাহিনীর যৌথ সামরিক মহড়ার পর থেকেই কূটনৈতিক উত্তেজনার পারদ চড়ছিল। তারা জানাচ্ছে, ‘যুদ্ধ অভ্যাস’ নামে এই সামরিক মহড়া যদিও প্রতি বছরই হওয়ার কথা – কিন্তু এবছর যেহেতু সেটি চীন সীমান্ত থেকে মাত্র ৬৫ মাইল দূরে অনুষ্ঠিত হয় এবং তাতে জোর দেওয়া হয় ‘মাউন্টেন ওয়ারফেয়ার’ বা পার্বত্য যুদ্ধে – চীন সেই পদক্ষেপকে খুব ভাল চোখে দেখেনি।
এ যৌথ মহড়া চীন ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত অঞ্চলে পারস্পরিক আস্থার পরিপন্থী বলেও তখন বেইজিং মন্তব্য করেছিল। গত ২৯ নভেম্বর মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ বা পেন্টাগনের পক্ষ থেকে যে ‘চায়না মিলিটারি রিপোর্ট’ প্রকাশ করা হয়েছে, তাতেও জানানো হয়েছে চীন-ভারত সম্পর্কের ভেতরে আমেরিকা যাতে হস্তক্ষেপ না-করে, সেজন্যও চীন মার্কিন কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে ইঙ্গিত আছে, অরুণাচল প্রদেশে সীমান্ত সংঘর্ষের সঙ্গে এই ভারত-মার্কিন যৌথ মহড়ার সম্পর্ক থাকলেও থাকতে পারে। সূত্র: টিওআই, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।