Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ভূয়া সাংবাদিক ও গোয়েন্দা পরিচয়ে মাদক ব্যবসা করত চক্রটি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশের সময় : ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২, ৪:৫৯ পিএম

ভূয়া সাংবাদিক ও আর্থিক গোয়েন্দা পরিচয়ে মাদক সরবরাহ করে আসছিল একটি চক্র। রাজধানীর বংশাল থেকে চক্রের মূলহোতা মুকুল হোসেনসহ চার

মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৩।

গ্রেপ্তাররা হলো- মো. মুকুল হোসেন ওরফে মকবুল আহমেদ (৪৪), মো. আব্দুল শাহীন ওরফে নোমান হোসেন (৩৩), মো. ফয়সাল (২৭), ও মো. আল-আমিন হোসেন (২৪)।


এ সময় বিপুল পরিমাণ গাঁজা ও নকল আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর টিকাটুলি র‍্যাব এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন এসব তথ্য জানান।


তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চক্রটি নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা থেকে প্রাইভেটকারযোগে ঢাকায় মাদক পরিবহন করে আসছিল। চক্রের মূলহোতা মুকুল দৈনিক মাতৃভূমির খবর নামে একটি লোকাল পত্রিকার ড্রাইভারের চাকরি করতো। পাশাপাশি নিজেকে সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার দাবি করেই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদক ব্যবসা করছিল সে।


পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জে একটি মাদক সিন্ডিকেট গড়ে তোলে মুকুল। সিন্ডিকেটের বাকি সদস্য ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে মাদক ক্রয় বিক্রিয়ের কাজটি করতো। সংস্থাটি আরও জানায়, মুকুলের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। বিভিন্ন মামলায় তিনি বেশকয়েকবার কারাভোগও করেন।


র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক বলেন, গ্রেপ্তার ফয়সাল একজন উর্দ্ধতন সরকারি কর্মকর্তার ব্যক্তিগত গাড়ির চালক। ছুটির দিনে বা অবসর সময়ে সুযোগ বুঝে সে উক্ত গাড়িটিকে ব্যবহার করে চক্রটির সাথে মিলে মাদকদ্রব্য চোরাচালানের কাজ করে থাকে। গাড়ির মালিকের ব্যবহৃত আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট এর স্টিকার ব্যবহার করে সে নিয়মিত বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য আনা-নেয়া করে থাকে। মুকুল এবং ফয়সাল উভয়েই দুইটি ভিন্ন ভিন্ন সম্মানজনক সংস্থার ভূয়া পরিচয় ব্যবহার করে মাদকদ্রব্য চোরাচালানের মত কাজ করে রাষ্ট্রের সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছে।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন বলেন, উক্ত চক্রের অপরাপর দুই সহযোগী আব্দুল শাহীন এবং আল-আমিন হোসেন বিভিন্ন জায়গা থেকে গাঁজাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে। তাদের প্রত্যেকের নামেই বিভিন্ন থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ