মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়াতে ফেডারেল পুলিশের সদর দফতরে হামলা চালিয়েছে প্রেসিডেন্ট পদে পরাজিত কট্টর ডানপন্থী নেতা জাইর বলসোনারোর সমর্থকরা। দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পরবর্তী সময়ে অন্যতম বড় সংঘাতের ঘটনা এটি।
এদিন ব্রাজিল ফুটবল দলের বিখ্যাত হলুদ রঙের জার্সি পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ জড়ান অধিকাংশ বিক্ষোভকারী। এসময় রাজধানীর বেশ কয়েকটি স্থানে বাস ও গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। তবে এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সোমবারের এ ঘটনায় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে স্টান গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ।
এর আগে চলতি বছরের ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লুলা দ্য সিলভার কাছে অল্প ব্যবধানে হেরে যান বর্তমান প্রেসিডেন্ট বলসোনারো। এরপর থেকে তার সমর্থকরা নানাভাবে বিক্ষোভ করে আসছেন।
বলসোনারো সমর্থকদের দাবি, নির্বাচনে কারচুপি করে বলসোনারোকে হারানো হয়েছে। আগামী ১ জানুয়ারি পর্যন্ত বলসনারো দেশটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে থাকবেন।
ফেডারেল পুলিশ জানিয়েছে, অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তায় সদর দফতরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
এর আগে সোমবার ব্রাজিলের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভাকে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেছে ব্রাজিলের নির্বাচন কমিশন। এরপরই সংঘর্ষে জড়ান পরাজিত প্রেসিডেন্টের সমর্থকরা।
প্রেসিডেন্ট পদে হেরে যাওয়ার পর বলসোনারো এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে পরাজয় মেনে নেননি, অন্যদিকে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় বাধাও সৃষ্টি করেননি তিনি।
সবশেষ শুক্রবার স্থানীয় গণমাধ্যমে বলসনারো বলেন, বস্তুত গত ৪০ দিন ধরে আমি নীরব ছিলাম। এটি আমাকে আঘাত করেছে, আমার আত্মাকে আঘাত করেছে। আমি সবসময়ই তোমাদের মাঝে সুখী লোক ছিলাম, এমনকি লোকজনের মাঝে ছিলাম জীবনের ঝুঁকি নিয়েও।
এসময় নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বলসোনারো বলেন, "এটি আমার আত্মাকে আঘাত করেছে।"
ব্রাজিলের রাজনীতিতে বলসোনারো এক বিতর্কিত নাম। আমাজন বনে আগুন দেয়া থেকে শুরু করে দেশটির অর্থনৈতিক সংকট, সব কিছুর জন্য এ প্রেসিডেন্টকে দায়ি করেন অনেকেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।