চীনে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদন পত্যাখ্যান করেছেন দেশটি। ব্রিটেনে চীনা দূতাবাস ওই অভিযোগের পাল্টা জবাব দিয়েছে।
চীনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “চীন সবসময় তার জনগণের মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতার উন্নয়ন ও সুরক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, মানবাধিকারের ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে, যা পক্ষপাতমুক্ত যে কেউ স্বীকার করে।”
এএনআই জানিয়েছে, শিনজিয়াং, হংকং আর তিব্বতের সঙ্গে জড়িত বিষয়গুলো নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে উল্লেখ করেছে চীন।
‘মানবাধিকার ও গণতন্ত্র’ নামে এক প্রতিবেদনে ব্রিটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, চীনে ২০২১ সালে মানবাধিকার পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করেছে। শিনজিয়াংয়ে এক ভিন্ন উপায়ে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন বেড়েছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, ধর্মের স্বাধীনতা বা বিশ্বাস ও আইনের শাসনের ওপর ব্যাপক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সমকামীতা ও লিঙ্গ অধিকারের উপর বিধিনিষেধও বহাল ছিল, যা সুশীল সমাজকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে বাধা দেয়।
হংকংয়ে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, নাগরিক স্বাধীনতা, বিশেষ করে বাক স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে। চীনে উইঘুর মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ‘রাজনৈতিক পুনর্শিক্ষা শিবিরে’ বিচারবহির্ভূত আটক রেখে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।
যুক্তরাজ্যের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, “সংখ্যালঘুদের ওপর নজরদারি, জোরপূর্ব শ্রম ও জন্মনিয়ন্ত্রণে মতো ঘটনার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে। ২০২১ সাল থেকে চীন সরকার উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে যা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় নজরদারি, ও পর্যবেক্ষণ করেছে।